রাজধানীর উন্নয়ন কার্যক্রম, এক ছাতার নিচে আনতে উদ্যোগ নিন

রাজধানীর উন্নয়ন কার্যক্রম, এক ছাতার নিচে আনতে উদ্যোগ নিন

রাজধানীর উন্নয়ন কার্যক্রম

এক ছাতার নিচে আনতে উদ্যোগ নিন

আলোচনায় ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সমাধান নেই যতক্ষণ বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নেওয়া হয়। রাজধানীর একটি সুন্দর পরিপাটি রাস্তা যখন পুনঃখনন করে নতুনভাবে কোনো পাইপ লাইনের কাজ করা হয় তখন তা খুবই বেমানান দেখায়। রাজধানীর সেবা সংস্থাগুলো নিয়ে বহুদিন ধরে কথাবার্তা হচ্ছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই উপসংহারে বলা হচ্ছে, রাজধানী-সংশ্লিষ্ট সব কিছু সম্মিলিতভাবে পরিচালনা দরকার।

একটি কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকলেই ভালো হয়। সে ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনকেই দায়িত্ব দেওয়া দরকার। বর্ষা এলেই ডুবে যায় ঢাকা। গণমাধ্যমের বরাতে আমরা দেখতে পাই রাজধানীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। পথে পথে পানি আটকে এত বিপদসংকুল অবস্থার সৃষ্টি হয় যা রাজধানীবাসীর অন্ত থাকে না। দুর্ভোগ কমাতে সঠিক সিদ্ধান্তটা নেওয়া খুব জরুরি বলেই আমরা জানি। বন্ধ খাল, বদ্ধ ড্রেনের কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হলেও সমাধানের পথ খোঁজার বদলে চলে দোষারোপ। দীর্ঘদিনের জনভোগান্তি নিরসনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ওয়াসার হাতে থাকা খালের দায়িত্ব চাইলেও এখনই মিলছে না ক্ষমতা। ৫৬ সেবা সংস্থার সমন্বয়হীনতা কাটিয়ে এক ছাতার নিচে সেবা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থপতি ও নগরবিদরা ঢাকার উন্নয়ন ও জনভোগান্তি রোধে সব কিছু এক ছাতার নিচে আনার দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের মতে মহানগরীর সার্বিক দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটি নগরনীতি, পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন ও নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রীয় অভিভাবক হিসেবে কাজ করবে। ঢাকায় ৪৭টি খালের মধ্যে ২৬টি টিকে আছে। বাকিগুলো দখলের কবলে। বেঁচে থাকা খালগুলোর অবস্থাও সঙ্গিন। মৃতপ্রায় খালগুলোয় গিয়ে পড়ে রাজধানীর সব ড্রেনের পানি। বৃষ্টি বেশি হলে বাধে বিপত্তি। খালে প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় রাজধানীজুড়ে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। ঢাকা উত্তরে ১৭টি খাল আছে; তার মধ্যে ডিএনসিসিতে সংযুক্ত নতুন ১৮টি ওয়ার্ডেই ১৩টি। খালগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। রাজধানীর ড্রেনেজব্যবস্থার বিভিন্ন অংশ ওয়াসা, রাজউক, ডিএনসিসি, ডিএসসিসি, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিসি দেখভাল করে। এতে সমন্বয়হীনতার সৃষ্টি হয়।

সমস্যা হলে চলে দোষারোপ, ভোগান্তি পোহায় জনগণ। আর জনদুর্ভোগ রোধে ঢাকা সিটির যে কোনো উন্নয়ন কর্মকা- সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় হবে। আমরা মনে করি, কাজের গুণগত মান বাড়বে সম্মিলিত কাজে। স্বল্প সময়ে উন্নত সেবা পাবে নগরবাসী। এ সেবা যত দ্রুত পারা যায় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *