নিজস্ব প্রতিবেদক ● রাজধানীর প্রায় সাড়ে চারশ হাসপাতাল-ক্লিনিক অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। বড় ধরনের আগ্নিকাণ্ডে এসব প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস। অগ্নি প্রতিরোধ ও নিরপত্তা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে এক মাসের সময়ও বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি। রাজধানীতে আগুন লাগার খবর মেলে প্রায় প্রতিদিন। সম্প্রতি বড় কটি ঘটনার পর ঢাকাকে ১০ অঞ্চলে ভাগ করে সব ধরনের স্থাপনা পরিদর্শনে নামে ফায়ার সার্ভিস। এরই অংশ হিসেবে যায় চারশ ৩৩টি হাসপাতাল-ক্লিনিকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু সময় দেয়া নয় নির্দেশনার বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা দেখতে জোর তদারকি চালাতে হবে। অগ্নি প্রতিরোধ ও নিরপত্তা আইনে রয়েছে ভবনের অবস্থান, সিঁড়ি ও পর্যাপ্ত অগ্ননির্বাপন ব্যবস্থা প্রতি তলায় সেফটি লবি জরুরি বহির্গমন পথ রিজার্ভ ট্যাংকে ৫০ হাজার গ্যালন পানি রাখাসহ ৩০টির বেশি সুবিধা রাখার নির্দেশনা। তবে বেশিরভাগ হাসপাতাল-ক্লিনিকেই মানা হচ্ছে না এসব শর্ত। এ কারণে চারশ ২২টি প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
পাশাপাশি শর্ত পূরণে দেয়া হয়েছে চিঠি। ফায়ার সার্ভিসের তালিকায় ২৪৮টি হাসপাতাল ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্কয়ার, ল্যাবএইড, পপুলার, ইবনে সিনা, বারডেমের মতো প্রতিষ্ঠান। আর অতি-ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় জাতীয় বক্ষব্যাধী, জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট, শমরিতা, মেরিস্টোপসহ ১৭৪টি হাসপাতাল। এতদিন ব্যবস্থা না নিলেও চিঠির পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বলছে, ঝুঁকিমুক্ত করতে ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা মেনেই শুরু হচ্ছে কাজ। তবে আশ্বাস না দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলোকে উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি শুধু তালিকা তৈরি নয় ঝুঁকিতে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দেশনা মেনে কাজ করছে কিনা ফায়ার সার্ভিসকে সে তদারকি জোরদার করার পরামর্শও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।