পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ীতেও টানা কয়েক দিন ধরেই বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র তাপদাহে মানুষের জীবন নাভিশ্বাস।এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায় প্রহর গুণছে পশুপাখিরাও। তবে বৃষ্টির দেখা নেই। উল্টো প্রতিদিন তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে ফসলের মাঠ। এ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় রাজবাড়ীতে বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় জেলার সদর উপজেলার পাচুঁরিয়া ইউনিয়নের ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার মাঠে বিশেষ এ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাদরাসার শিক্ষক, ছাত্র ও এলাকাবাসীসহ পাঁচ শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করে্ন। এ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বা পানির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল এরশাদ মোহাম্মদ সিরাজুম্মনির বিশেষ এই নামাজের ইমামতি করেন। সবাই মিলে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। পরে নামাজের পর খুৎবা পাঠ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন তিনি।
সরেজমিনে ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাঞ্জাবি-টুপি পরে জায়নামাজ নিয়ে মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা অংশ নিয়েছে। এছাড়া বিশেষ এই নামাজে অংশ নিয়ে স্থানীয়রা। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষেরা এই নামাজে অংশ নেয়। নামজ শেষে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
স্থানীয় মো. ইউনুস আলী বলেন, বর্তমান আবহাওয়ার যে অবস্থা তাতে মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখি পর্যন্ত বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে। আজকে আমরা ভান্ডারিয়া মাদরাসার আহ্বানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহর দরবারে দোয়া করলাম যেন বৃষ্টি হয়।
মাদরাসার আলীম ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তানিমুর রহমান বলেন, সারাদেশ অসহনীয় গরম পড়েছে। অনেকদিন ধরেই বৃষ্টি হওয়ার কথা কিন্তু হচ্ছে না। তীব্র এই গরমে শুধু মানুষ না পশুপাখিরাও কষ্ট পাচ্ছে। তাই আমরা রাসূল (সা.) এর সুন্নত অনুযায়ী দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করলাম। বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম।
অধ্যক্ষ আবুল এরশাদ মোহাম্মদ সিরাজুম্মনির বলেন, সারা বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে বেড়ে চলছে। বিশেষ করে আমাদের দেশে ধারণাতীতভাবে তাপমাত্রা বেড়েছে। এই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াতে মানুষসহ পশুপাখির জন্য কষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা বিশেষ নামাজ আদায় করেছি। আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়েছি, ভিক্ষা চেয়েছি। তিনি যেন আমাদের সবার গুণাহ ক্ষমা করে দিয়ে আমাদের মাঝে বৃষ্টি দেন।