রাতে কম খাওয়ার উপকারিতা

রাতে কম খাওয়ার উপকারিতা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: রাতে ভারী খাবার খাওয়া, পরিমাণে বেশি খাওয়া অথবা বেশি রাতে খাবার খাওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়। এর পরিবর্তে দিনের শুরুতে চাহিদার বেশির ভাগ ক্যালরি গ্রহণ করে রাতে হালকা খাবার এবং পরিমাণে কম খেয়ে ঘুমানো উচিত। রাতে কম খাওয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘আর্লি টাইম-রেস্ট্রিক্টেড ফিডিং’ বা ‘ইটিআরএফ’। এর অনেক বৈজ্ঞানিক উপকারিতাও রয়েছে।

সঠিক ওজন বজায় থাকে

রাতে পরিমাণে কম খাবার খেলে দেহে ক্যালরি কম পোড়ায়, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কেননা রাতে হজমের জন্য শরীরকে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ভারী খাবার পাকস্থলীতে চাপ সৃষ্টি করে।

সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে

যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে এবং যারা ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে চায়, তাদের উচিত রাতে কম খাওয়া।

কেননা রাতে হালকা খাবার রক্তে সুগার লেবেলকে নিয়ন্ত্রণে বেশ সাহায্য করে।

সার্কাডিয়ান ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করে

আমাদের দেহে প্রাকৃতিক সার্কাডিয়ান রিদম বা ছন্দ রয়েছে, যা বিপাকসহ বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। কিছু গবেষণা বলছে, এই সার্কাডিয়ান ছন্দের সঙ্গে খাবারের সময়কে মেলানো ভালো। এতে বিপাকীয় স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

ঘুম ভালো হয়

গভীর রাতে ভারী খাবার খেলে ঘুমের গুণমান ব্যাহত হয়। অন্যদিকে গবেষণা বলছে, সন্ধ্যার দিকে হালকা খাবার খেয়ে ঘুমালে রাতে ভালো ঘুম হয়, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সঠিক ওজন বজায় থাকে

কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা সন্ধ্যায় তাদের দৈনিক ক্যালরির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ খায়, তাদের ওজন বাড়তে পারে। রাতে মোট ক্যালরি খরচ কমানো ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী হতে পারে।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে

রাতে দেরি করে খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

বিশেষ করে উচ্চ কার্বোহাইড্রেট বা চিনিযুক্ত খাবার খেলে এমনটি বেশি হতে পারে। রাতের খাবার সীমিত করলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ে

রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে ভারী খাবার খেলে এসিড রিফ্লাক্স, বদহজম হয়ে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ জন্য সন্ধ্যার পরপরই খেয়ে নেওয়া ভালো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *