৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছেছে কয়লা। শনিবার (১৩ মে) তিনটি লাইটারে করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৯ হাজার মেট্রিকটন কয়লা আনা হয়। এর আগে ২৫ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪৯ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ছেড়ে আসা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘বসুন্ধরা ইমপ্রেস’। গত ৯ মে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে জাহাজটি। সেখান থেকে ১৯ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন কয়লা ছোট লাইটারে খালাস হয়। এর মধ্যে ৯ হাজার মেট্রিকটন রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে।
‘বসুন্ধরা ইমপ্রেস’ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক শিপিংয়ের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, খালাস হওয়া বাকি ১০ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন কয়লা সোমবার (১৫ মে) মোংলার বঙ্গবন্ধু-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র আনা হবে। জাহাজে থাকা বাকি ৩০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে আসবে জাহাজটি। আগামী ১৬ মে (মঙ্গলবার) এই জাহাজ মোংলায় ভিড়বে।
কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর উৎপাদনে যাওয়ার ২০ থেকে ২২ দিন পরই কয়লার মজুত শেষ হয়ে যায়। ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারায় রিজার্ভ কয়লা দিয়ে আরও পাঁচ দিন উৎপাদন চালু রাখা হয়। পরে ৪ জানুয়ারি ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হলে এক মাসের মাথায় আবার উৎপাদনে ফেরে। গত ১৫ এপ্রিল রাত থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। তিন দিন বন্ধ থাকার পর ১৮ এপ্রিল সচল হলেও কয়লা সংকটে ২৩ এপ্রিল রাত থেকে ফের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিয়মিত ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল এই বিদ্যুৎকেন্দ্র। উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৪৬০ মেগাওয়াট ঢাকার জাতীয় গ্রিডে এবং ২০০ মেগাওয়াট খুলনা-বাগেরহাটে সরবরাহ করা হচ্ছিল। নিয়মিত উৎপাদনের জন্য কেন্দ্রে দৈনিক পাঁচ হাজার মেট্রিকটন কয়লার প্রয়োজন। কিন্তু কয়লা সংকটে গত ২৩ এপ্রিল রাত থেকে কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে ৯ হাজার মেট্রিকটন কয়লা ইতোমধ্যে চলে এসেছে। এখনই বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবো না, আগামী ১৬ মে মোংলা বন্দরে ৩০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা আসার পরই দ্রুত সম্ভব রামপাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হবে।’