২৭শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জিলকদ, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাশিয়ার থেকে চীনকে আরও বড় বিপদের কারণ বলে মনে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মতে, রাশিয়া এখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীন ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সেখানেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এই মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে জানান।
তিনি বলেন, “চীনের মোকাবিলায় ও তাদের থামাতে আন্তর্জাতিক বিশ্বকে একজোট হতে হবে।”
ব্লিংকেন আরও বলেন, “চীন এমন একটা দেশ, যাদের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করার মতো আর্থিক, সামরিক, প্রযুক্তিগত ও কূটনৈতিক দক্ষতা আছে এবং তাদের সেই ইচ্ছে আছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, রাশিয়া বর্তমানে বিপদের কারণ। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিতে দেখতে গেলে চীন অনেক বড় বিপদের কারণ।”
ইউক্রেন আক্রমণ করার আগে রাশিয়া চীনের সঙ্গে নো লিমিটস নিরাপত্তা চুক্তিতে সই করে। সেখানে মস্কো অবশ্য ন্যাটোর বিপদের মোকাবিলা করার কথা বলেছে। কিন্তু চীন ইংরাজিতে যে বিবৃতি জারি করেছে, সেখানে ন্যাটোর বিপদের মোকাবিলা করার কথা নেই।
চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধু ও সহযোগী দেশগুলির উপর নির্ভর করবে। মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করেন, চীনের চারপাশে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করে রাখা উচিত, যা চীনের নীতিকে প্রভাবিত করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রধান কূটনীতিকের মতে, ঠিক যেভাবে রাশিয়ার মোকাবিলা করা হচ্ছে, সেভাবেই চীনের মোকাবিলা করতে হবে। দুই মডেল একই হওয়া দরকার।
ব্লিংকেন বলেন, “আমরা পুতিনকে সফল হতে দিইনি। যে চ্যালেঞ্জ এসেছিল, তার মোকাবিলা করা গেছে। পরমাণু শক্তিধর দেশগুলি যুদ্ধে জড়ায়নি।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফর করেছেন। দুই জায়গাতেই আলোচনায় চীন প্রাধান্য পেয়েছে। চার দেশের কোয়াড শীর্ষ বৈঠকে চীন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, চীন যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র চুপ করে বসে থাকবে না। তারাও যুদ্ধে সামিল হবেন।