পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইউক্রেনের প্রতিবেশী বেলারুশ তার ভূখণ্ডে মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ বিমান মহড়া শুরু করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর পাশাপাশি লড়াইয়ে অংশ নিতে মিনস্ককে টেনে আনা হচ্ছে। তবে প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে বেলারুশীয় সেনা পাঠাবেন না। লুকাশেঙ্কো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
ইউক্রেনের উত্তরেই অবস্থিত বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে তাদের যৌথ বিমান মহড়া চলবে। এর মূল লক্ষ্য হলো যুদ্ধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ‘যৌথ কার্যক্রমের সামঞ্জস্য বাড়ানো।’
মহড়ায় বেলারুশের সব বিমান ঘাঁটি অংশ নেবে বলে জানিয়েছে মিনস্ক কর্তৃপক্ষ। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, মহড়ার মধ্যে থাকবে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা বোঝা, সীমান্তে যৌথ টহল, কৌশলগত বিমান হামলা বাস্তবায়ন, পণ্য সরবরাহ এবং আহতদের সরিয়ে নেওয়ার প্রশিক্ষণ। সরকারি কর্মকর্তারা এই মহড়াকে নিছক প্রতিরক্ষামূলক বলে বর্ণনা করেছেন।
বেলারুশ সরকারের নিরাপত্তা পরিষদের ফার্স্ট ডেপুটি স্টেট সেক্রেটারি পাভেল মুরাভেইকো বলেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। কিয়েভের তরফ থেকে আসা যেকোনো উসকানিমূলক কার্যক্রমের জন্য সর্বদা প্রস্তুত মিনস্ক।’
রাশিয়া সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র বেলারুশের প্রধান রাজনৈতিক মিত্র ও ঋণদাতা। মস্কোকে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য এর মধ্যেই তার ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মিনস্ক। শুরুর দিকে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বেলারুশের দিক থেকে চালানোও হয়েছে।
এর আগে গত অক্টোবরে মিনস্ক জানায়, তারা মস্কোর সঙ্গে মিলে একটি যৌথ আঞ্চলিক বাহিনী প্রতিষ্ঠা করছে। তার জন্য কয়েক হাজার রুশ সেনা বেলারুশে আসছে।