রুহুল আমীন খান উজানীর কবিতা
কার কাছে কার জবাবদিহিতা
ওদিকে দুশমনরা পিটাতে আসে বাঁশের লাঠি নিয়ে
এদিকে সঙ্গীরাও ওঁৎ পেতে আছে রড হাতে নিয়ে,
মহান আল্লাহর মহাদান তিনি
সন্তর্পনে সারিয়ে নেন স্বীয় দয়া দিয়ে।
হায়াৎ যতো দীর্ঘ হচ্ছে
ততোই হচ্ছি নির্জন একাকী,
অভিজ্ঞতার ফিরিস্তি দীর্ঘ হচ্ছে যতো
ধরা খাচ্ছে ততো ফাঁকি।
তত্ব বেশী কুড়াবার তরে যতো বিদ্যাগার
সঠিক তত্ব কজনে পায় সব এক মোহনায় মেছাগার।
উড়ে বেড়ায় পুঁজি আহরণে
কতো সন্ধানী ঝাঁকে ঝাঁকে ,
জীবন শেষে সবাই শান্ত ক্লান্ত
আসলে আটকে আছে সব বাঁকে বাঁকে।
কে দেবে হিসাব কেই বা নেবে হিসাব
সবাই ভাসমান বিদায় ভেলায়,
কোথায় থাকছি কোথায় যাচ্ছি
আছি তাড়াহুড়ায় ডুবন্ত বেলায়।
লিখতে চাচ্ছি বহু কিছু লিখনি চলছেনা
বিভীষিকাময় এই করোনাক্ষণে,
কোয়ারেন্টাইন আইসোলেশন লকডাউন
এসব কি মানে মানবমনে?
ঘটে গেছে সব ঘটবার যা কিয়ামতে
নেই কিছু আর প্রতীক্ষার,
প্রশ্নপত্র সব ফাঁস হয়ে গেল
বাকি নেই যেন আর পরীক্ষার।
ঘন্টা বাজার আগেই ছুটি
দপ্তরী দাঁড়িয়ে আছে ঘন্টা নিয়ে,
তাসের ঘর ক্ষণিকে নড়বড়
সব তছনছ একটু একটু বিরতি দিয়ে।
ছাড়ে না এ করোনা কাউকেই
কে ধনী বা কে গুণী ,
সবাই এর কাছে সম একাকার
যেনো ন্যায়নিষ্ঠ প্রশাসক জ্ঞানী।
ভেঙে গেল ভেদপ্রাচীর যতো
ঊর্ধ্বগামী এক অদম্য বন্যা,
ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সকল শ্রেণী
চেনেনা কে ভিখারিনী কেবা রাজকন্যা।
কোথায় পরাশক্তির দাবীদার?
কোথায় আজ সম্পদের কাহিনী?
কোথাও স্থান নেই ঠাই নেবার
সব পলায়নরত বিদ্রোহী বাহিনী।
যে দিতো একদিন চিকিৎসাসেবা
আজ সেই চিকিৎসা কাতর,
যে সৈনিক দিতো নিরাপত্তাসেবা
আজ সেই কাঁপছে থরথর।
আগুন পানি বাতাস সব
আজকে যেন এসব ক্রিয়াশূণ্য,
সবাই বুঝে ফেলেছে সব অন্তঃসার
শুধু মহান সত্ত্বা আল্লাহই পরিপূর্ণ।
লেখক : শায়খুল হাদীস আল্লামা রুহুল আমীন খান উজানী
প্রিন্সিপাল, জামিয়াতুস সাহাবা, উত্তরা, ঢাকা