৫ই মার্চ, ২০২১ ইং , ২০শে ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ , ২১শে রজব, ১৪৪২ হিজরী
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২২৩ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণার পর পরিকল্পনাটা টের পাওয়া গিয়েছিল। কাল তো হাতে পুরো একটা দিন আছেই, সঙ্গে শনিবারের শেষ সেশন। কনিবারশেষ সেশনে আলো-আঁধারির খেলায় কয়েকটি উইকেট নিয়ে রাখতে পারলে শেষ দিনের রোমাঞ্চে মুমিনুল হকের দল মনস্তাত্ত্বিকভাবে এগিয়ে থাকবে। শেষ সেশনে ৩ উইকেট নেওয়ায় বাংলাদেশ দলের এই পরিকল্পনাকে মোটামুটি সফল-ই তো বলা যায়!
মোটামুটি বলার কারণ, দিনের খেলা শেষ হওয়ার ৭ ওভার আগে আরও একটি উইকেট নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজকে মিড অফে তুলে মেরেছিলেন কাইল মায়ার্স।
বেশ কঠিন ক্যাচটা উল্টো দিকে দৌড়ে মোস্তাফিজুর রহমান ধরতে পারলে দেখার মতো এক দৃশ্য হতো। এর সঙ্গে মায়ার্সের মতো বিপজ্জনক ব্যাটসম্যানকে তুলে নিতে পারলে কনিবার-ই জয়ের পথে বেশ এগিয়ে থাকত বাংলাদেশ দল।
আপাতত চট্টগ্রাম টেস্টের ভাগ্য আসলে আগামীকাল ক্যারিবিয়ান মিডলঅর্ডারের দৃঢ়তা ও বাংলাদেশের স্পিনারদের কৌশলের ওপর নির্ভর করছে।
জয়ের জন্য ৩৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু চতুর্থ উইকেট-জুটিতে এনক্রুমা বোনার-মায়ার্সের ৯৪ বলে ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এই চাপ আলগা করে ফেলে সফরকারী দল।
নিখাদ ব্যাটিং না হলেও বেশ দ্রুতলয়েই রান তুলেছেন দুজন। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ১১০ রান তুলে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের লক্ষ্য থেকে এখনো ২৮৫ রান পিছিয়ে ক্রেগ ব্রাফেটের দল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে। বাংলাদেশের মাটিতে টেস্টে এটাই সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।
অর্থাৎ চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে হলে বাংলাদেশের মাটিতে নতুন রেকর্ড-ই গড়তে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
ক্যারিবিয়ানদের এই কঠিন লক্ষ্যটাকে শেষ সেশনে আরও কঠিন করে তুলেছিলেন চট্টগ্রাম টেস্টে ‘মাইডাস টাচ’ পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া অলরাউন্ডার ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে নেন ৪ উইকেট। কনিবারদলটির ইনিংসেও শুরুতে স্পিন-ফাঁস পরানোর পথে ছিলেন এ অফ স্পিনার।
কনিবারওয়েস্ট ইন্ডিজের যে ৩ উইকেট পরেছে, সবগুলোই মিরাজের। জহুর আহমেদ চৌধুরীর বাইশ গজ এমনিতেই স্পিনবান্ধব। চতুর্থ দিনে ভঙ্গুর উইকেটে বল একটু থেমে এসেছে ব্যাটে। বাঁকের সঙ্গে এ সুবিধা নিয়েই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বল করে উইকেটগুলো নেন মিরাজ।
কনিবারওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭তম ওভারের প্রথম বলে জন ক্যাম্পবেলকে (২৩) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নিজের পরের ওভারে ব্রাফেটকেও (২০) তুলে নেন এ অলরাউন্ডার।
এরপর শেন মোজলিকেও (১২) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তিনি। টানা দুই ওভারে ২ উইকেট তুলে নিয়ে সফরকারী দলকে ভীষণ চাপেই ফেলেছিলেন তিনি। পরে জেঁকে বসা চাপটা আলগা করেন বোনার-মায়ার্স জুটি। ৪৯ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত মায়ার্স। অন্য প্রান্তে ১৫ রানে অপরাজিত বোনার।