২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৩০শে শাবান, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : এক সপ্তাহ পরেই শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান। অথচ রোজার আগেই হু হু করে বাড়ছে শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, সবজিভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা করে। দুই একটি ছাড়া কোনও সবজিই ৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপণ্যে দাম বাড়লেও বাড়েনি আয়। রোজাকে কেন্দ্র করে এভাবে দাম বাড়তে থাকলে ইফতার-সেহরিতে খাদ্য সংগ্রহই কঠিন হয়ে পড়বে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে তুলনামূলক প্রায় প্রতিটি সবজিরই দাম বেড়েছে। দুই একটি ছাড়া কোনও সবজিই ৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। সজনে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে, ঢেঁড়স ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, করলা ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। কেজিপ্রতি সিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু পোলান্ড ৩০, দেশি ছোট আলু ৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা এবং বরবটি ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও কাঁচামরিচ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়, ফুলকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, এক হালি লেবু আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
দাম প্রসঙ্গে রবিউল ইসলাম নামক এক সবজি বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম অনেকটাই বেড়েছে। কারণ হলো, শীতকালীন সবজিগুলো বাজার থেকে চলে যাচ্ছে আবার ঝিঙে-চিচিঙ্গা-পটলসহ গরমের সবজি নতুন আসছে, তাই এগুলোর দামও বেশি।
আরেক সবজি বিক্রেতা মজনু মিয়া বলেন, টমেটো ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছি, গত সপ্তাহে ৩০ টাকা ছিল। এছাড়াও সিম ৫০ টাকা বিক্রি করছি, গত সপ্তাহেও ৪০ টাকা ছিল। এরকম প্রায় প্রতিটি সবজির দামই বেড়েছে। রোজার আগে দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাজারে সবজিই কম আসায় আড়ৎদাররা বেশি দাম ছাড়া সজবি ছাড়ে না। শীত চলে যাওয়ায় সবজিগুলোও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে, যা আসছে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজার করতে আসা আরিফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বাজারে সাধারণ পেশাজীবীদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। তাদের অধিকাংশকেই জমানো পুঁজি ভেঙে, ধার-দেনা ও ঋণ করে টানাপড়েনে সংসার চালাতে হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই।
আলমগীর হোসেন নামক আরেক ক্রেতা বলেন, মাছ-মাংসের চেয়ে সবজিটা মানুষের সবসময়ই প্রয়োজন হয়, বাজারে দেখছি এটার দামই বেশি। টমেটো ছিল গত সপ্তাহেও ২০ থেকে ৩০ টাকা, আজকে দেখছি ৪০ টাকা। ছোট একটা ফুল কপি ৪০ টাকা। আমরা না হয় কোনরকমে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারবো, যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা তো ভয়াবহ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, সামনে রোজার মাস, হয়তো দেখবো জিনিসপত্রের দাম আরেক দফায় বেড়ে গেছে। বাজারে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের উচিত কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করা।