২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৩রা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি

রোদ উঠলেও কমেনি শীতের তীব্রতা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলেছে রোদের। তবে মাঘের শীতে জর্জরিত সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল থেকে শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের দাপটে শীতের দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

সকাল ৮টার পর থেকেই দেখা মিলেছে সূর্যের মুখ। তবে অনুভূত হচ্ছে কনকনে প্রচন্ড শীত। সূর্যের মুখ দেখা গেলেও মিলছে না রোদের উষ্ণতা। শীত দুর্ভোগে পড়েছে নানান শ্রমজীবী-কর্মজীবী গরিব অসহায় মানুষ। পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে শুরু করে ছোটখাটো যানবাহন ভ্যানচালক মানুষগুলো পড়েছেন বিপাকে। তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে। তবে জীবিকার তাগিদে তাদেরকে কাজে যেতে দেখা গেছে।

চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক ও দিনমজুররা জানান, সকালে বরফের মতো কনকনে শীত। কাজ করতে গেলে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু কী করবো, পেটের দায়ে আর পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজে বের হতে হয় আমাদের। একই কথা বলছেন নারী পাথর শ্রমিকরা। তারা বলছেন, তীব্র শীতের কারণে তাদেরও কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে। ঘর সংসার সামলিয়ে তাদেরকে জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে হচ্ছে। শীতের কারণে তাদের অনেক সময় কাজে যেতে দেরি হলে মহাজনরা অনেক সময় কাজে নিতে চান না।

স্থানীয়রা জানান, মাঘের শীতে পোহাচ্ছি আমরা। বিকেল গড়ালে শুরু হয় হিমেল হাওয়া। সে হাওয়ায় প্রবাহিত হতে থাকে কনকনে শীত। সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়তে থাকে শীতের তান্ডব। স্থানীয়রা জানায়, দিনের চেয়ে রাতের শীত বেশি মনে হয়। পুরো রাত বরফের মতো লাগে। যেন আমরা বরফের দেশে বাস করছি।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, জেলায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হচ্ছে।

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২২ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com