রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশ : নেপথ্যে কারা!
দেলাওয়ার সাকী : এই রোহিঙ্গা সমাবেশের নেপথ্যের এবং প্রকাশ্যের কারিগর মুহিবুল্লাহ নামের একজন। মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান।
এই সেই মুহিবুল্লাহ, যিনি মাসখানেক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে নালিশ জানিয়ে এসেছেন। মুহিবুল্লাহদের সঙ্গী ছিলেন বাংলাদেশের প্রিয়া সাহা। যিনি ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উদ্ভট তথ্য প্রদান করে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেন।
বিভিন্ন দেশের এনজিওকর্মীদের পাশে নিয়ে সেই মুহিবুল্লাহই রোহিঙ্গা সমাবেশের মঞ্চের মধ্যমণি হয়ে যান। দুই বছর আগে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের মানবিকভাবে আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এদের অপকর্মে এখন সিংহভাগ জনগন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ইয়াবা ব্যবসা, যৌন পেশা, চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। সেইসঙ্গে দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গারা মজলুম, অসহায়। মানবিক কারণে বাংলাদেশে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। আমরা তাদের সাধ্যানুযায়ী পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। ক্যাম্পের মসজিদ-মাদরাসা সচল রাখার জন্য এখনো সাধ্যনুযায়ী সহযোগিতা করে যাচ্ছি। ইহুদি খ্রিস্টান ও ইসলাম বিদ্বেষীদের দ্বারা পরিচালিত এনজিও সংস্থাগুলো এই মজলুম রোহিঙ্গাদের নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। বাংলাদেশকে আফগানিস্তান ইরাক এবং সিরিয়া বানানোর ক্ষেত্র তৈরি করে সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদী শক্তির নিরাপদ ঘাঁটি বানানোর নীল নকশা প্রণয়ন করেছে।
ক্ষমতাসীন নতজানু সরকার সব জানেন। রোহিঙ্গাদের বিশাল মহাসমাবেশ। প্রশাসন গোয়েন্দা সংস্থা কিছুই টের পাননি এটা হাস্যকর। অবিলম্বে এনজিও সংস্থাগুলোর লাগাম টেনে না ধরলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে!
লেখক : রাজনীতিক