লকডাউন এখন তামাশা : ফখরুল

লকডাউন এখন তামাশা : ফখরুল

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের ঘোষিত লকডাউন এখন তামাশায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার ৭ দিনের জন্য পুনরায় লকডাউন ঘোষণা করেছে যা এখন তামাশায় পরিণত হয়েছে। এখন আবার বলছে যে, সোমবার (২৮ জুন) থেকে না বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে। এগুলো ফান। তামাশা তো সেজন্যই।

রোববার (২৭ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের অযোগ্যতা এবং জবাবদিহিহীনতার কারণে লকডাউন সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। গরীব সাধারণ মানুষ দিন আনে দিন খায় শ্রেনীর মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা না করে অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরের শ্রমিক ও কর্মরত ব্যক্তিদের নগদ টাকা ট্রান্সফারের ব্যবস্থা না করে লকডাউন কখনোই কার্যকর হতে পারে না।

লকডাউন কেনো তামাশায় পরিণত হচ্ছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কেনো তামাশা নয়। আপনারা এর আগে প্রথমে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেন। সেই ছুটিতে দেখা গেলো শ্রমিকরা একবার গেলো, আবার তারা ফিরে আসলো। শনিবার আপনি আবার লকডাউনের ঘোষণা দিলেন। একটা লকডাউন তো চলছে এখন। স্টিল অন। আপনি গাড়ি-ঘোড়া বাইরের জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। যার ফলে কি হচ্ছে? মানুষে হেটে রওনা দিয়েছেন ঢাকার দিকে ফিরে আসছে। একদল লোক যাচ্ছে-ছুটি ৭দিন মনে করে। আবার আরেক দল ঢাকায় ফিরছে। এই যে অবস্থাগুলো আপনি আগে চিন্তা করবেন না কী হতে পারে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত উইটি। সরকার বললো না যে, এবার কঠোর লকডাউন করবে। তখন মানুষ বলে এরপরে কী বলতে হবে- কঠিন লকডাউন, তারপরে কী বলতে হবে, নেত্রীর লকডাউন, তারপরে কী বলতে হবে, আল্লাহর কসম লকডাউন। এই যে হিউমার এটা বাংলাদেশের মানুষরা বলছে। এ নিয়ে সবাই তামাশা করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানিকগঞ্জে বলেছেন, জনগণ যদি আমাদের সহযোগিতা করে। জনগণ তো সহযোগিতা করতে চায়, তারা বাঁচতে চায়, আপনারা তো তাদেরকে বাঁচতে দিচ্ছেন না।

হাসপাতালগুলোতে ঔষধের সংকট দেখা দিয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজধানী ও সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কোভিড-১৯ ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ভয়াবহ রুপ নেয়ায় স্থায়ী কমিটির সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রোগীর চাপে সরকারি ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা দিয়েছে জরুরী চিকিৎসা উপকরণ সংকট ও জীবন রক্ষাকারী ঔষধের মারাত্মক সংকট। সবচেয়ে আশংকা বিষয় যে, রাজধানীর কেন্দ্রীয় ঔষাধাগারে অধিকাংশ জরুরী চিকিৎসার উপকরণ মজুদ প্রায় শেষ। রেমডিসিভির ইনজেকশন নেই, করোনা টেস্টিং কিট নেই, ভেন্টিলেটার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা নেই। এছাড়া আইসিইউ বেড, অক্সিজেন, কনসেনট্রেটর অক্সিজেন সিলিন্ডারের পরিমান অত্যন্ত অপর্যাপ্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব ব্যবস্থা আছে বলে যে মিথ্যাচার করছে তাতে স্থায়ী কমিটির সভায় ক্ষোভ ও ধিক্কার জানানো হয়।

করোনা সংকট মোকাবিলায় অবিলম্বে করোনা বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট জাতীয় কমিটি, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন, এনজিও এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মতামতের মাধ্যমে যৌথ প্রচেষ্টার উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি আবারো আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *