পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজামণ্ডপ, বাড়িঘর ও দোকানপাটে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী ও সাংবাদিকরা।
একই সঙ্গে তারা সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপক্ষে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আগামী শুক্রবার (২২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ কর্মসূচি আহ্বান করেছেন।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘জাগো মানুষ রুখে দাও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস’ শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
সমাবেশে সাহিত্যিক স্বকৃত নোমান কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো—
- দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করা।
- রামু, নাসিরনগর, শাল্লা, কুমিল্লা, হাজীগঞ্জ, নোয়াখালী ও রংপুরে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার প্রকৃত কারণ জনসম্মুখে প্রকাশ করা ও প্রতিটি ঘটনার বিচার করা।
- অতীতে সাম্প্রদায়িক হামলার হোতা অভিযুক্ত অনেক ব্যক্তিকে রাজনৈতিক দলে প্রকাশ্যে কর্মরত দেখা যায়, তাদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার ও বিচার করা।
- ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ধর্মসভা তথা ওয়াজ মাহফিলে সাম্প্রদায়িক ও নারীবিদ্বেষমূলক বক্তব্য বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া।
- স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তক থেকে সাম্প্রদায়িক পাঠ বিলুপ্ত করে অসাম্প্রদায়িক পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা।
- বহুজাতি এবং বহু ধর্ম সম্প্রদায়ের এই দেশের সংবিধান থেকে ‘রাষ্ট্রধর্ম’ বাতিল করা; সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সরকারি উদ্যোগে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা।
- সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সারা দেশের সংস্কৃতিচর্চার (নাটক, গান, নৃত্য, যাত্রাপালা, পালাগান, বাউলগান) প্রসার ঘটানো।
- পাশাপাশি স্বাধীন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সরকারি পৃষ্টপোষকতায় প্রাণিত করা।
- দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে পাঠাগার ও সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন করা।