পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বেলারুশের একটি আদালত শান্তিতে নোবেলজয়ী ও মানবাধিকার কর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কিকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। বিক্ষোভে অর্থায়নে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে। জার্মানি এই রায়কে ‘প্রহসন’ হিসেবে সমালোচনা করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র বেলারুশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াইয়ের জন্য ৬০ বছর বয়সী বিয়ালিয়াৎস্কি গত বছর অক্টোবরে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। কঠোর দমন-পীড়ন চালিয়ে প্রায় ত্রিশ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। বিরোধীদের সহিংস পন্থায় কারাগারে পাঠানো বা দেশত্যাগে বাধ্য করছেন তিনি।
মিনস্কের আদালত থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে বিয়ালিয়াৎস্কিকে মলিন দেখা গেছে। তার হাতে হাতকড়া পরানো রয়েছে। আদালত কক্ষের একটি খাঁচা থেকে তিনি বিচার প্রক্রিয়া দেখছেন।
ভিয়াসনা (বসন্ত) মানবাধিকার গোষ্ঠীর সহ প্রতিষ্ঠাতা বিয়ালিয়াৎস্কিকে ২০২১ সালে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে আরও তিনজনকে বিক্ষোভে অর্থায়ন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
বিয়ালিয়াৎস্কি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
২০১১ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
বিয়ালিয়াৎস্কিকে কারাগারে পাঠানোর পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাকে একজন ‘বিবেকের বন্দি’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে।