পাথেয় রিপোর্ট : পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠাই ছিল যিশুর অন্যতম ব্রত মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই ছিল যিশু খ্রিস্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যিশু নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলির জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এ সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এ দেশে সকল ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা রয়েছে। সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে এদেশে সকল ধর্মীয় উৎসব আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, বড়দিন দেশের খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরও সুদৃঢ় করবে। তিনি উৎসবমুখর বড়দিনে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
এদিকে বড় দিন (ক্রিসমাস ডে) উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গের জন্য এক সংবর্ধনার আয়োজন করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং তাঁর সহধর্মিনী রাশিদা খানম।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হবে। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় তথা দেশবাসিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে একটি ‘ক্রিসমাস কেক’ কাটবেন রাষ্ট্রপতি।
এ ব্যাপারে বঙ্গভবনের একজন মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও, বিভিন্ন বিদেশী কূটনৈতিক মিশনে দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিবৃন্দ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবীরা এই সংবর্ধনায় যোগ দিবেন।
মুখপাত্র বলেন, এছাড়াও রাষ্ট্রপতি বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মযাজকবৃন্দ এবং দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তথা জনগণের সাথের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই ছিল যিশু খ্রিস্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যিশু নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলির জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।