১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২০শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : চলতি বছরের অক্টোবরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক অংশের উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে থার্ড টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
মাহবুব আলী বলেন, ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনালের সফট ওপেনিং (আংশিক অংশের উদ্বোধন) চলতি বছরের অক্টোবর মাসে করা হবে। আশা করছি অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী থার্ড টার্মিনালের আংশিক অংশের উদ্বোধন করবেন। আমরা করোনার মধ্যেও থার্ড টার্মিনালের কাজ এগিয়ে নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন বিভিন্ন রকমের যন্ত্রাংশ আসছে, সেগুলো ইনস্টল করা হচ্ছে টার্মিনালে। অক্টোবরে মূল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কাজ শেষে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা জাতিরও প্রত্যাশা ছিল। বিমানবন্দর একটি স্বাধীন দেশের গেটওয়ে। বিদেশ থেকে যেসব পর্যটকেরা বাংলাদেশ আসবে তারা যেন বিমানবন্দরে প্রবেশ করেই দেশের উন্নতির বিষয়ে ধারণা নিতে পারেন। আমাদের মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। পাতাল রেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করা হয়েছে।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিন তলাবিশিষ্ট তৃতীয় টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য থাকছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এর নকশা করেছেন স্থপতি রোহানি বাহারিন।
জেনে নিন নতুন এই টার্মিনালে যাত্রীরা যেসব সুবিধা পাবেন-
১. এই টার্মিনালে ২৪টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থা থাকবে। তবে প্রকল্পের প্রথম ধাপে চালু করা হবে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ।
২. বহির্গমনের জন্য রাখা হবে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার। এর মধ্যে থাকবে ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টার।
৩. ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ৬৬টি।
৪. আগমনীর ক্ষেত্রে ৫টি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি পাসপোর্ট ও ১৯টি চেক-ইন অ্যারাইভাল কাউন্টার থাকবে।
৫. টার্মিনালে ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে। অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য থাকবে চারটি পৃথক বেল্ট।
৬. তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে নির্মাণ করা হবে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং ভবন। এতে ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
৭. ভবনের অভ্যন্তরে দক্ষিণ পাশে সর্বাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ভিভিআইপি স্পেস রাখা হবে।
৮. ভবনের সঙ্গে ভূ-গর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ ও উড়াল সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ থাকবে।
৯. থাকবে আন্তর্জাতিক মানের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা।