পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল প্রায় দেড় বছর। এরপর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে সংক্রমণ যখন আবারও তুঙ্গে, তখন দ্বিতীয় দফায় দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ করা হলো স্কুল-কলেজ। এই ছুটি কি বাড়ছে-এমন প্রশ্ন সর্বত্র। প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে ছুটি বাড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
সংক্রমণের যে পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে, সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বরঞ্চ অবনতি হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলে আসছেন, সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ছুটি শেষ হওয়ার ঠিক আগে আগে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বাড়বে এই ছুটি।
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকতা জানান, এই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার মতো কোনো যুক্তি নেই। সংক্রমণের যে হারের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে, এখনো সেই অবস্থাতেই আছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও ৭ বা ১৪ দিন বাড়ানো হতে পারে। ওই সময়টাতে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের কর্মসূচি আরও গতিশীল করবে সরকার।
এদিকে স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য চাপ রয়েছে শিশুদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইউনিসেফের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, কোনো অজুহাত না দিয়ে স্কুল খোলা রাখুন। কোনোভাবেই শিশুদের পড়াশোনা ব্যাহত করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দিন, সচেতন করুন; স্কুল বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আসা উচিত ছিল সবকিছুর পরে এবং খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল সবার আগে। কিন্তু অনেক দেশেই দেখা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ অথচ খোলা আছে শপিংমল কিংবা রেস্তোরাঁ। এমনকি মহামারি পরিস্থিতি যখন দাবি করে না, তখনও কোনো কোনো দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার উদ্যোগ নেই।