শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ : শিক্ষামন্ত্রী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত হলো ‘ট্রান্সলেট অ্যা স্টোরি ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের ভার্চুয়াল লঞ্চিং ইভেন্ট।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের উদ্যোগে ভার্চুয়াল লঞ্চিং ইভেন্ট আয়োজিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো সংযুক্ত হন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিয়াট্রিস কালদুন, হেড অব অফিস অ্যান্ড কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ টু বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. সোহেল ইমাম খান অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। বিয়াট্রিস কালদুন তাঁর বক্তব্যে অনুষ্ঠানে যুক্ত সকলকে স্বাগত জানান।

‘ট্রান্সলেট অ্যা স্টোরি ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ’ একটি অনুবাদমূলক কার্যক্রম যা শিশুদের জন্য তাদের মাতৃভাষায় মানসম্পন্ন পাঠ উপকরণ তৈরিতে কাজ করেছে। ইউনেস্কো, নরওয়েজিয়ান এজেন্সি ফর ডিভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এবং বাংলাদেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩০০ (তিন শ) বইয়ের অধিক বাংলা অনুবাদ এবং পাঁচটি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ভাষায় ১০০ (এক শ) বইয়ের অনুবাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এই পুরো আয়োজনের কারিগরি সহযোগিতায় ছিল এটুআই, আইসিটি বিভাগ।

শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘চলমান কভিড পরিস্থিতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদক্ষেপ। বৈশ্বিক এই দুর্যোগে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়নি। তবে অনলাইনে তাদের শ্রেণি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ট্রান্সলেট অ্যা স্টোরি ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে ইউনেস্কো এবং বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে’। তিনি এই পুরো কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন।

বিশেষ অতিথি, শিক্ষা উপমন্ত্রী এই কার্যক্রমকে অত্যন্ত সময়োপযোগী হিসেবে আখ্যা দেন। করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীদের ওপর যে মানসিক প্রভাব ফেলেছে এ বিষয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, একটা দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীদের যখন বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে, নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করতে হচ্ছে তখন তাদের মানসিক চাপ নিরসনে এবং তাদের এই কঠিন সময়টা আনন্দদায়ক করে তুলতে নিজের ভাষায় অনুদিত এই বইগুলো হয়ে উঠবে এক অনন্য উপজীব্য।

মো. মাহবুব হোসেন তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, সরকার বিভিন্ন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যেই পাঁচটি প্রধান ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ভাষায় পাঠ্যবই এবং অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি ট্রান্সলেট অ্যা স্টোরি ইনিশিয়েটিভ কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. সোহেল ইমাম খান তাঁর সমাপনী বক্তব্যে এই আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং এই ভার্চুয়াল লঞ্চিং ইভেন্টের মাধ্যমে এই কার্যক্রম বাংলা ভাষায় অনুদিত কন্টেন্ট বাংলাদেশসহ সার বিশ্বে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *