পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্দ্যেশ্য ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা। এজন্য তিনি কাজটি শুরু করেন নবীনদের নিয়ে। সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। সকল প্রাথমিক শিক্ষা করলেন একমুখী।
আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন ও শেখ হাসিনার উন্নয়ন শীর্ষক’ এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আলোচনাসভাটি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা হবে একমুখী। কেউ ইংলিশ মিডিয়ামে, কেউ কেজি স্কুলে, কেউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়বে তা হবে না।
শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য একটিই- তা হলো মানুষ হওয়া। কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, রাজনীতিবিদ হবে। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন ছিল এটিই, যা রবীন্দ্রনাথের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়।
শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার বাসা ঢাকা ধানমন্ডি থেকে রওনা দিয়ে বোয়ালমারীতে এসেছি মাত্র সোয়া ঘণ্টায়।
এটা সম্ভব হয়েছে পদ্মা সেতুর জন্য, সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে বিভাজিত শিক্ষা ব্যবস্থা বিদ্যমান। এদিকে নজর দিতে হবে। দেশে বাংলা মিডিয়াম, ইংরেজি মিডিয়াম, মাদরাসার পৃথক কারিকুলাম আছে। কিন্তু এখানে একটি কমন কারিকুলাম দরকার।
কলেজের সভাপতি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাবেক এমপি কাজী সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার (পিএএ), পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান (পিপিএম), বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোশারেফ হোসাইন, থানার ওসি মুহম্মদ আব্দুল ওহাব, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশীদ প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আকরামুজ্জামান মৃধা রুকু।
আলোচনাসভায় উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন