পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিজ্ঞানের এই যুগে প্রযুক্তিবান্ধব প্রজন্ম গড়ে তুলতে শিক্ষার বিকাশে সরকার অনেক উদ্যোগ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন, বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩ এর সেরা মেধাবী পুরস্কার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
রোববার (১১ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতেই শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক পদ্ধতি ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এ সময় বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নে গবেষণা বাড়াতে গুরুত্ব দেওয়ারও আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, তারপর ক্ষমতায় আসার পর উদ্যোগ নেয়া হয়। আজকে কিন্তু আমরা সেই কাজ করতে সফল হয়েছি; আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারণ আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে আমরা যদি তাল মিলিয়ে চলতে না পারি, তাহলে চলব কীভাবে।’
১৯৮১ সালে দেশে ফেরার সময় দেশ ছিলো যুদ্ধাপরাধী ও খুনীদের রাজত্ব মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আমাকে এগুতে হয়েছে। কিন্ত আমি হাল ছেড়ে দেইনি। অনেক চেষ্টা করে দেশকে একটা পর্যায়ে আনতে পেরেছি আজ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজ আশাবাদী এদেশকে আর কেউ পেছনে টেনে নিয়ে যেতে পারবে না। আবার অন্ধকার যুগে নিয়ে যেতে পারবে না। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই এদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩ জাতীয় পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সেরা ১৫ শিক্ষার্থীর হাতে পদক তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেয়েছেন মোট ২২ কৃতি শিক্ষার্থী।