শীতের সকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল

শীতের সকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: গুটি গুটি পায়ে এসে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। দিনে গরম থাকলেও রাতের দিকে আগমনী বার্তা দিচ্ছে শীত। এতে খুশির আবহ বয়ে গেলেও শীতের সকালে গোসল নিয়ে ভীতি কাজ করছে অনেকের মনে।

অনেকেই শীতের সময়ে ঠান্ডা পানির কারণে গোসল করতে চায় না। যার কারণে অনেকেই গরম পানি দিয়ে গোসল করে থাকেন। তবে শীতের সকালে ঠান্ডা পানিতে গোসলে রয়েছে নানা উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

শরীর ফুরফুরে থাকে
শীতের সকালে ঠান্ডা পানি শরীরে যেকোনো প্রকার জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে শান্ত ও স্বাভাবিক। এ কারণে টানা অনেকক্ষণ কাজ করার পরও আমাদের শরীরে ক্লান্তি জেঁকে বসে না। দিনের শুরুতে ঠান্ডা পানিতে গোসল শরীরকে ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করে।

শুনতে অবাক লাগলেও শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য গরম পানি থেকে ঠান্ডা পানি বেশি কার্যকরী। ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে শরীরে থাকা ব্রাউন অ্যাডিপোজ টিস্যুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে ও শীতের সময় শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

বৃদ্ধি পায় সহ্যক্ষমতা
শীতের দিনে ঠান্ডা পানি সহ্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ব্যথা-বেদনার সহ্যশক্তিও বাড়িয়ে তোলে ঠান্ডা পানি। এ ছাড়া রক্তসঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে ঠান্ডা পানি। পেশি ও গাঁটের সংযোগস্থলে রক্ত সঞ্চালনও ঠিক রাখে।

রোগপ্রতিরোধ করে
শীতকালে ঠান্ডাজনিত সমস্যা, যেমন সর্দিকাশি দূর করতেও বড় ভূমিকা রাখে ঠান্ডা পানি। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করেন, বিশেষ করে শীতের দিনে, তাদের অসুস্থতার হার ২৯ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।

চুল সুস্থ রাখে
ঠান্ডা পানি চুলের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে মাথার কিউটিকল যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই উজ্জ্বল ও স্বাভাবিক চুলের দেখা পাওয়া যায় শীতেও।

খুশকি কমায়
শীতে অনেকের মাথায় খুশকি দেখা দেয়। ঠান্ডা পানিতে নিয়মিত গোসল করলে মাথায় খুশকির পরিমাণ কমে আসে। সোরিয়াসিস বা একজিমার মতো রোগের উপশম কমাতে ঠান্ডা পানি বেশি উপকারী। ঠান্ডা পানি মাথা ঠান্ডা রাখতে ও চুলকানি কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *