২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৮ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু পবিত্র রমজান মাস। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। মাসটি বছরের অন্যান্য সময়ের মতো নয়। এসময় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। যেহেতু সারা বছরের রুটিনের সঙ্গে মিল নেই, তাই সবটা সামলে উঠতে অনেকেরই সময় লেগে যায়। অতিরিক্ত কাজের চাপে ইবাদতেও বিঘ্ন ঘটে অনেকের। তবে একটু কৌশল করে নিলেই পুরো রমজান মাস-জুড়েও থাকতে পারবেন চাপমুক্ত। আর সময়ের কাজ গুলোও সম্পন্ন হবে সময়মত। চলুন জেনে নেই রোজার আগের প্রস্তুতি সম্পর্কে:
রমজানে দুইবেলাই থাকে খাবারের ঝামেলা। সন্ধ্যায় ইফতার ও ভোর রাতে সেহরি। আর যেহেতু রোজা রাখার কারণে দিনের বেলা ক্লান্তি লাগাটা খুব স্বাভাবিক। তাই রোজা রেখে খুব বেশি কাজও করা সম্ভব হয় না। তাই রমজানে কোন খাবারগুলোর দরকার হবে তা মনে করে একটি তালিকা তৈরি করে বাজার করে ফেলতে পারলে কষ্ট এবং সময় দুটাই বাঁচবে।
বাজারের পর কখন কোন খাবারটি প্রয়োজন হবে সেগুলো সেভাবেই গুছিয়ে রাখা ভালো । যেন প্রয়োজনের সময় সব হাতের কাছে পাওয়া যায়। এলোমেলো ছড়িয়ে রাখলে পরবর্তীতে নিজেকেই কষ্ট করে খুঁজতে হবে। আবার এমন কিছু জিনিস থাকে যেগুলো দ্রুত নষ্ট হতে পারে, সেগুলোও ঠিকঠাক সংরক্ষণ করতে হবে।
রোজা রেখে বাড়ি-ঘর, কাপড় ইত্যাদি পরিষ্কার করতে কষ্ট বেশি হতে পারে। তাই আগেভাগেই পরিচ্ছন্নতার কাজগুলো সেরে নেয়াই ভালো। যে জিনিসগুলো রোজার মাসে বেশি প্রয়োজন হবে, সেগুলো পরিষ্কার থাকলে রোজাতে মন সতেজ থাকবে। এমনকি ইবাদতেও মন দেওয়া সহজ হবে।
ইফতারের জন্য নানা রকম ফ্রোজেন খাবার অগেই তৈরি করে রাখলে রোজা থেকে সারা বেলা রান্নাঘরের চাপ কিছুটা কমে যাবে।এমনকি শরবত তৈরির সিরাপও যদি আগেই তৈরি করে রাখা যায় তবে ইফতারের সময় তাড়াহুড়ো লাগবে না।
শিশুরা তো বড়দের মতো নয়। তাদের জন্য রোজা রাখার বাধ্য-বাধকতাও নেই। তাই রমজান মাসেও শিশুর খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয়। শিশুর খাবারের প্রতি উদাসীন থাকলে সে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তাই শিশু রোজায় কী খাবে, তা আগেভাগেই চিন্তা করে সে অনুযায়ী বাজার করা এবং তার খাবারগুলো গুছিয়ে রাখার কাজটিও আগেভাগেই সেরে নিতে পারাটাই ভালো।