শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়

শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়

অ্যালার্জি, হাঁপানি, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ফুসফুসের রোগ, নিউমোনিয়া, স্থূলতা, যক্ষ্মা ইত্যাদি নানা কারণে শ্বাসকষ্ট অ্যাজমা দেখা দিতে পারে। শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বা রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলেও নিশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। যদি কারো কিডনি জটিলতা থাকে তখন তার শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হলেও শ্বাসকষ্টের সম্ভাবনা থাকে। ক্যান্সারের কারণেও শ্বাসকষ্ট হয়। কেউ শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে তাকে কিছু বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা লাগে। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো:

অ্যাজমা রোগীদের প্রথমেই অ্যালার্জি টেস্ট করে জানা দরকার তার কিসে কিসে অ্যালার্জি হয় এবং  যে জিনিসে অ্যালার্জি তা যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা।

নানা ধরনের হাঁপানির ওষুধ আছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করে রোগী সুস্থ থাকতে পারেন। তবে শ্বাসকষ্ট বেশি হলে অনেক ক্ষেত্রে ইনহেলার নিতে হয়। দিনে দুবার নিলেই হয়। শ্বাসকষ্ট রোগীরা সাধারণত অক্সিজেনও নিয়ে থাকেন।

অ্যালার্জি দ্রব্যাদি থেকে এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিনও অ্যাজমা রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। ফলে কর্টিকোস্টেরয়েডের বহুল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোয় এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশেও এ পদ্ধতিতে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়।

ধুলোবালি, ঘরের ঝুল, ধোঁয়া ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা। এসবের কারণে অনেক সময় অ্যালার্জি দেখা দেয়।

ঘরবাড়িকে ধুলোবালি থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করা।

ঘরে কার্পেট ব্যবহার না করা।

বালিশ, তোশক, ম্যাট্রেসে তুলা ব্যবহার না করে স্পঞ্জ ব্যবহার করা।

শীতকালে যথাসম্ভব গরম পানিতে গোসল করা।

ধূমপান না করা। পরোক্ষ ধূমপানও শ্বাসকষ্টের জন্য ক্ষতিকর।

ঠাণ্ডা খাবার যেমন আইসক্রিম ইত্যাদি না খাওয়া।

মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা না করা।

পেশাগত কারণে অ্যাজমা হলে চেষ্টা করতে হবে স্থান কিংবা পেশা পরিবর্তন ।

পরিশ্রম কিংবা খেলাধুলার কারণে শ্বাসকষ্ট বাড়লে চেষ্টা করতে হবে পরিশ্রমের কাজ কম করতে।

রেণু পরিহারে সকাল কিংবা সন্ধ্যা বাগান এলাকায় কিংবা শস্যখেতের কাছে না যাওয়া।

রেণু এলাকা থেকে বাসায় ফিরে সব পরিষ্কার করা।

কুকুর-বিড়াল বাগান থেকে রেণু বহন করতে পারে। এজন্য নিয়মিত কুকুর-বিড়ালকে গোসল করানো প্রয়োজন।

মাস্ক ব্যবহার করা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *