শয়তানের মন্দ প্ররোচনা থেকে বাঁচতে

শয়তানের মন্দ প্ররোচনা থেকে বাঁচতে

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : শয়তানের যেকোনো মন্দ প্ররোচনা নিজেকে রক্ষা করতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। তিনিই আমাদের পরম রক্ষাকর্তা। এ কারণে পড়তে হবে, ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতুয়ানির রাজিম; মিনহামজিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফছিহি।’ অর্থাৎ, আমি আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তানের প্ররোচনা ও ফুৎকার থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

বাড়িতে নফল নামাজ পড়া মোস্তাহাব। তবে মসজিদেও পড়া জায়েজ। বাড়িতে প্রবেশ করার সময় দোয়া পড়লে এবং সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসি পড়লে বাড়ি মন্দ প্রভাব থেকে সুরক্ষিত থাকে। ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়ে মূল্যবান মালামাল সিন্দুক বা সংরক্ষিত করে তার মুখ বন্ধ করা ভালো।

হাদিসে আছে, ‘যখন কোনো ব্যক্তি তার ঘরে ঢোকার ও খাওয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন শয়তান তার সঙ্গীদের বলে, তোমাদের রাত কাটানোর কোনো জায়গা নেই; তোমাদের রাতের কোনো খাবারও নেই।’ (মুসলিম)

জিন ও শয়তানের কাছ থেকে সুরক্ষিত থাকতে হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রাতের বেলা তোমরা পাত্রগুলো ঢেকে দাও; মশকগুলোর (চামড়ার তৈরি পানি সঞ্চিত রাখার পাত্র) মুখ আটকে রাখো; ঘরের দরজা বন্ধ করো এবং আলো নিভিয়ে দাও। শয়তান মশকের বাঁধন খুলতে পারে না। দরজা খুলতে পারে না, পাত্রও উন্মুক্ত করতে পারে না। তবে তোমাদের কেউ পাত্র ঢাকার জন্য একটা কাঠি ছাড়া অন্য কিছু না পেলে সে যেন তাই রাখে এবং পাশাপাশি আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়ে নেয়। কেননা ইঁদুর চেরাগের আগুন থেকে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।’ (মুসলিম)

সে কারণে রাতে পাত্র ঢেকে রাখা, মশকের মুখ আঁটকে দেওয়া, দরজা বন্ধ করা এবং এ সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা উত্তম। ঘুমের সময় আগুন নিভিয়ে দেওয়া এবং সন্ধ্যার পর শিশু ও গৃহপালিত জন্তুগুলোকে (বাড়িতে) আটকে রাখা উত্তম।

সকাল-সন্ধ্যায় দোয়া করা, জিকির পড়া এবং ঘরে সুরা বাকারা তিলাওয়াত করা এসব ক্ষেত্রে উপকারী। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ঘরে সুরা বাকারা পড়া হয়; শয়তান সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়।’ (মুসলিম)

বিশ্বাসীদের তাই জিন ও শয়তানের প্ররোচণা থেকে বেঁচে থাকতে হলে এসব হাদিসের যথাযথ আমল করা কর্তব্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *