পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ফলাফল কেন্দ্রিক প্রতিযোগিতা ও উম্মাদনা বন্ধ করতে গ্রেডিং পদ্ধতিতে পুরোপুরি সংস্কার আনা হবে। নতুন পদ্ধতিটি এমনভাবে সংস্কার করা হবে যাতে করে শিক্ষার দিকে মনোযোগী হন অভিভাবকরা বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা যত কম জিপিএ-৫ নিয়ে কথা বলি তত আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভালো। আমাদের জিপিএ-৫ এর উন্মাদনা এটি দিয়ে আমরা আমাদের শিশুদের, শিক্ষার্থীদের পুরো শিক্ষা জীবনটাকে একেবারে দুর্বিষহ তো করছেই, তার সঙ্গে বিষিয়ে দিচ্ছি প্রায়। তাদের উপর যে অবিশ্বাস্য রকমের চাপ, পরিবারের দিক থেকে, বন্ধু-বান্ধবের দিক থেকে, জিপিএ-৫ই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না।’
জিপিএ-৫ কে মাথা থেকে সরিয়ে তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করার উপর জোর প্রদান করে তিনি বলেন, ‘জিপিএ-৫ জিনিসটা আসলে আমাদের মাথা থেকে বের করে দেওয়া উচিত। শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে শিখছে কি না, তাদের নিজেদের যে প্রতিভা আছে সেটি বিকশিত করার ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা করতে পারছি কি না, এই বিষয়গুলোই এখন মুখ্য হওয়া উচিত।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেতে সারাদেশে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে । জিপিএ ৫ পেতে ও ভালো ফলাফল করতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এটি খুবই বাজে প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করে শিক্ষা অর্জনে আমাদেরকে মনোযোগী হতে হবে।’
পরীক্ষার বিষয় কমানোর প্রসঙ্গ তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, ‘আমরা কিছু বিষয় এখন ধারাবাহিক মূল্যায়নে নিয়ে এসেছি। এক সময় ধারাবাহিক মুল্যায়নে বাচ্চারা সে কাজগুলো না করেই নম্বর যুক্ত হয়ে যেত, এ রকমই বলা হত। এখন আর তার কোনো সুযোগ থাকছে না।’
জেএসসি-জেডিসিতে এবার সম্মিলিতভাবে ৮৭ দশমিক ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ হাজার ৪২৯ জন।
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এসব পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।