সংস্কৃতির সঙ্গে ধর্মের বিরোধ নেই : কে এম খালিদ

সংস্কৃতির সঙ্গে ধর্মের বিরোধ নেই : কে এম খালিদ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সংস্কৃতি ও ধর্ম স্বতন্ত্র বিষয়, একটির সঙ্গে অন্যটির কোনো বিরোধ নেই। আমরা প্রকৃতি থেকে সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করি, শিক্ষা নিই। অন্যদিকে, সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে আমরা ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করে থাকি। একটির সঙ্গে অন্যটির কোনো দ্বন্দ্ব নেই।

শুক্রবার রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘বৈশাখী মেলা ১৪৩০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে পয়লা বৈশাখ। সম্রাট আকবরের সময় কৃষি জমির খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে বাংলা নববর্ষ চালু হয়। ধীরে ধীরে এটি সর্বজনীন রূপ লাভ করে।

কে এম খালিদ বলেন, বিভিন্ন সময়ে কিছু ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পয়লা বৈশাখের বিরোধিতা করেছিল। পাকিস্তান সরকারের আমলে একবার পয়লা বৈশাখ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।সেই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা একটি গোষ্ঠী আবারও পয়লা বৈশাখের পেছনে উঠেপড়ে লেগেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও বক্তব্য রাখেন- শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার , শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিসিকের চেয়ারম্যান মুহ: মাহবুবুর রহমান।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বিসিকের উদ্যোগে দেশের কারুশিল্পীদের মধ্যে তাদের কাজের দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরুপ কারুশিল্পী পুরস্কার-১৪২৯ প্রদান করা হয় যার মধ্যে ১ জন শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পীকে কারুরত্ন এবং ৯ জন দক্ষ কারুশিল্পীকে কারুগৌরব পুরস্কার প্রদান করা হয়। মেলায় মোট স্টল থাকছে ৮৮টি যার মধ্যে চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য-১৩টি, ফ্যাশন/বুটিকস পণ্য-৪৮টি, খাদ্যজাত পণ্য-১০টি, বাঁশ, বেত ও হস্তশিল্প-৫টি, বিসিক মধু-২টি, কর্মরত কারুশিল্পী-১০টি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *