২৫শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জিলকদ, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা সারাদিনের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে। তাই নিঃসন্দেহে সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ওজন কমাতে শরীরচর্চা যেমন জরুরি তেমনই স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে রোগা হতে চাইলে সকালের খাবার খাওয়ার সময়েও খানিক বদল আনা দরকার।
স্থূলতা সমস্যা বাড়ছে নাগরিক জীবনে। ওজন কমিয়ে রোগা হতে চান অনেকেই। তার জন্য পরিশ্রমও কম করেন না। জিমে যাওয়া, মেপে খাওয়াদাওয়া করা, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো— এত এত চেষ্টার পরেও অনেক সময় ওজন কমতে চায় না। কিংবা কমলেও তা না কমারই মতো। বিশেষত কোমরের মেদ নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে থাকেন।
শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে দিনের অন্য সময়ের খাবারের চেয়েও বেশি সচেতন হতে হবে সকালের নাস্তার বিষয়ে। দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হলো সকালের নাস্তা। কারণ সকালে কী খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করছে সারা দিনে আপনার শরীরের হাল কেমন থাকবে।
পুষ্টিবিদরা বলেন, ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় কী খাচ্ছেন, তার পাশাপাশি কখন খাচ্ছেন সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেটের মেদ কমাতে হলে সকালের খাবারে ভাবনাচিন্তা করে কয়েকটি উপাদান রাখতে হবে। কার্বোহাইড্রেট থাকতে হবে কম। কিন্তু প্রোটিন ও ফাইবার রাখতে হবে যথেষ্ট মাত্রায়। ডিম, ওটমিল, টক দইয়ের মতো খাবার সকালের খাবারে রাখলে ওজন কমবে দ্রুত। শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলেই হবে না, সময় মতো তা খেয়ে নেওয়াটাও জরুরি।
রাতে খাওয়ার পর অনেকটা সময় পেট ফাঁকা থাকে। বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকা স্বাস্থ্যকর নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, রাতের এবং সকালের খাবারের মধ্যে অন্তত ১২ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা প্রয়োজন। তার কম হলেও অসুবিধা নেই। তবে তার বেশি যেন না হয়। সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে সকালের নাস্তা করে নিতে হবে।