সকালের ভালো কাজ কোনগুলো?

সকালের ভালো কাজ কোনগুলো?

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সকালে ঘুম ভেঙে দিনের শুরুটা হওয়া চাই সুন্দর। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটে না। বরং ঘুম ভেঙে ওঠার পর মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, সবকিছুতেই বিরক্ত লাগে। কিছু সহজ উপায় মেনে চললেই এই বিরক্তিভাব কিংবা খিটখিটে মেজাজ এড়িয়ে সতেজ ও সুন্দর একটি দিন শুরু করা যায়। এমনটাই প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান টাইমস। চলুন জেনে নেয়া যাক-

  • সকালে উঠেই জিমে ছুটবেন না

ঘুম থেকে উঠেই তাড়াহুড়ো শুরু করে দেবেন না। জিমে যাবেন না। বরং একটু ধীরে-সুস্থে শুরু করুন দিনটি। দিনের শুরুটা হোক যার যার প্রার্থনার মাধ্যমে। এতে অন্যরকম প্রশান্তি লাভ করবেন। এরপর হালকা শরীরচর্চা করতে পারেন।

  • স্ট্রেচিং নয়

সকালে ঘুম ভাঙার পর আমাদের পেশি একদম শান্ত থাকে। ফলে হঠাৎ করেই স্ট্রেচিং শুরু করলে পেশিতে টান ধরতে পারে। এ কারণে সারাদিন নানা রকম সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তাই সকালে উঠেই স্ট্রেচিং নয়। আর স্ট্রেচিং শুরু করার আগে লম্বা করে শ্বাস নেবেন।

  • চিনি ছাড়া চা

হজমশক্তি ভালো রাখার জন্য দিনের শুরুতে এককাপ চা পান করুন। সকালের হালকা শরীরচর্চার পর চা পান করুন। এই চা অবশ্যই চিনি ও দুধ ছাড়া পান করবেন। গরম পানিতে লেবু দিয়ে খেতে পারেন। চায়ের বদলে গ্রিন টিও খেতে পারেন।

  • ফোন দূরে রাখুন

ঘুম ভেঙেই ফোন হাতে নেয়ার অভ্যাস প্রায় প্রত্যেকেরই। আপনারও এই অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। যেদিকে মন দিলে সকালটা সুন্দর হবে, সেইদিকে মন দিন। অফিসের মেসেজে কিংবা মেইলও অফিস শুরু হওয়ার পরে চেক করবেন। দিনের শুরুটা হোক নির্মল আর ঝঞ্ঝাটবিহীন। কোনো কারণে মন বিক্ষিপ্ত হলে সারাদিন আর কোনো কাজে মন বসাতে পারবেন না।

  • সকালের খাবার বাদ দেবেন না

অনেকেই তাড়াহুড়োর কারণে সকালের খাবার না খেয়েই কাজে ছোটেন। কিন্তু এটি মোটেই ঠিক নয়। বরং দিনের মধ্যে সকালের খাবারই সবচেয়ে বেশি জরুরি। রাতের পর দীর্ঘ সময় পেট ফাঁকা থাকে। তাই সকালে উঠে স্বাস্থ্যকর সব খাবার খান।

  • ঘুম থেকে উঠেই ব্যস্ততা নয়

ঘুম থেকে উঠেই খুব ব্যস্ত হয়ে হুড়োহুড়ি করবেন না। কারণ এতে মন সঠিক সিগন্যাল পায় না। আর তাই মনোবিদরা বলছেন ঘুম থেকে উছে অন্তত ১০ মিনিট প্রকৃতির শব্দ শুনুন। পাখিক ডাক বা অন্য যা কিছু হতে পারে। সকালে উছেই অযথা চিৎকার চেঁচামেচিতে যাবেন না। কারণ এতে পজিটিভ এনার্জি নষ্ট হবে। সবথেকে ভালো যদি কোনও মন্ত্র শুনতে পারেন।

  • পরিকল্পনা

পরদিন কোন কাজগুলো করবেন, তার পরিকল্পনা করে রাখুন। কখন কোন কাজটি করতে হবে তা জানা থাকলে সমস্যার সৃষ্টি হবে না। সকালে উঠে যদি পরিকল্পনা করতে হয়, তবে অনেকটা সময় সেখানে নষ্ট হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *