২৮শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৫ই রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
ইসলামিক শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য বর্তমানে আমেরিকার অধিকাংশ মুসলিমরা তাদের সন্তানদের ইসলামিক স্কুলে পাঠাচ্ছেন। সম্প্রতি ‘মিডল ইস্ট আই’ ওয়েব সাইট তাদের একটি গবেষণায় এ তথ্য তুলে ধরেছে। গবেষণায় তারা বহু মুসলিম অভিভাবকের অভিমত তুলে ধরেছেন। পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্মানিত পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটির চুম্বকাংশ অনুবাদ করেছেন ‘আব্দুর রহমান রাশেদ’।
আব্দুল্লাহ খান নামের একজন মুসলিম অভিভাবক বলেন, ‘আমি সারা জীবন পাবলিক স্কুলে পড়েছি। সত্যি বলতে ইসলামিক স্কুলে ভর্তি করানোর মতো সামর্থ্য আমার বাবার ছিলো না। ইসলামিক পরিবেশে না থাকার কারণে ইসলাম পালন থেকে আমি বহু দূরে ছিলাম। এজন্য মদ ও নারীর নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতাম। ইসলামের হালাল-হারাম সম্পর্কে আমার পর্যাপ্ত জ্ঞান ছিলো না। একজন মুসলমান হিসেবে আমি চাই না আমার সন্তানরা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ থাকুক। এদিকে পাবলিক স্কুলগুলোতে ইসলাম চর্চার কোনো পরিবেশ থাকে না। তাই আমি আমার বাচ্চাদের ইসলামিক স্কুলে পাঠাচ্ছি।’
আব্দুল্লাহ খান আরও বলেন, ‘এখনকার সময়ে আপনি যখন আপনার বাচ্চাদের পাবলিক স্কুলে ভর্তি করাতে যাবেন, তখন তারা তাদেরকে জেন্ডার (লিঙ্গ) বেছে নিতে বলে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বাচ্চাদের সামনে একগাদা জেন্ডার (লিঙ্গ) তুলে ধরে। এর মাধ্যমে বাচ্চারা ভালো কোনো বার্তা পায় না। আমার জানা মতে, এটা ইসলামে নেই। আমি আমার মেয়েকে এসব কূ শিক্ষা থেকে দূরে রাখতে চাই।’
সুহায়লা সালেহ টেক্সাসের একটি ইসলামিক স্কুলের স্নাতক। তার মতে ইসলামিক স্কুল একটি নিরাপদ স্থান, যেখানে তাকে ইসলামিক মূল্যবোধ এবং ইসলামিক ইতিহাস শেখানো হয়। স্কুলে মেয়ে এবং ছেলেদের আলাদা আলাদা রাখা ক্লাস রুম। যা ইসলামের অনুকূল পরিবেশ।
সুহায়লা বলেন, ‘আমি এতো বছর ধরে এই নিরাপত্তার বেষ্টনিতে ছিলাম। আমি মিথ্যা বলবো না, কলেজ জীবনে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষের সাথে উঠাবসা করে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। কিন্তু আমি মনে করি ইসলামিক স্কুলে থাকাটা আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে অন্য লোকেদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয়।’
গত মাসে আমেরিকার মিশিগানের ডিয়ারবর্নে একটি স্কুলের পাঠ্য সূচিতে থাকা একটি বইয়ে যৌনতাপূর্ণ বিষয় বস্তু উপস্থিত থাকায় সেখানকার সচেতন অভিভাবকগণ স্কুলটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে। LGBTQ+ এর মতো ন্যক্কার জনক বিষয় থাকায় স্কুলের সাতটি বইকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তারা।
এ ঘটনার পর, অনেক সচেতন অভিভাবক এখন তাদের সন্তানদের স্কুলটি থেকে সরিয়ে নিয়েছে। তারা এখন তাদের সন্তানদের ইসলামিক স্কুলে পাঠাতে চান।
ওমর নামের এক মুসলিম অভিভাবক বলেন, ‘বাচ্চাদের পাবলিক স্কুল থেকে একটি ইসলামিক স্কুলে নিয়ে যাবো। বাচ্চারা গত সাত বছর ধরে ডিয়ারবোর্নের একটি পাবলিক স্কুলে পড়ছে। কিন্তু এখন আর তাদেরকে এখানে রাখতে চাই না।’