পাথেয় রিপোর্ট : ঐক্যফ্রন্ট সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, নির্বাচনের আগে নীলনকশা অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াত- ঐক্যফ্রন্ট জোট সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী নির্বাচনের মাঠে না থেকে, দেশে সর্বত্র সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও হামলা পরিচালনা করছে।
২৩ ডিসেম্বর রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম এসব কথা বলেন।
এইচ টি ইমাম অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের অন্য জোটের অফিস ভাঙচুর, মিছিলে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করছে। আবার প্রতিদিন নিজেরাই সহিংসতা সৃষ্টি করে উল্টো নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে এবং মিডিয়াতে লাগাতার মিথ্যাচার অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত জোট আবারো ২০০১ সালের স্টাইলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে এই ধরনের হামলা ও সহিংসতার জড়িত বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে আওয়ামী লীগের পাঁচ জন নিহত এবং ২৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী সমর্থক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। শত শত নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি ও দোকানপাটে হামলা করা হয়েছে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এদিকে আসন্ন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণাসহ সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রটেকশন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত লক্ষ্মীপুর ৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী।
আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নামে নানা অভিযোগ তুলে রোববার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তিনি এ আবেদন জানান। তার পক্ষে আবেদনের চিঠি জমা দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ ইজাজ কবির ও মঞ্জু চৌধুরী।
চিঠিতে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি অভিযোগ করে লিখেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের স্বশস্ত্র ক্যাডারগণ আমার নির্বাচনী প্রচারে প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করছে। গণসংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।