সবজির বাজারে দাম চড়া
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাজার দিন দিন চড়া হয়ে উঠছে। আষাঢ়ে যেমন বৃষ্টি বেড়েছে তেমনি বাজারের সবজিও দামেও আগুন লেগেছে। চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুনের সঙ্গে রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। আলু, পটল, বেগুন বরবটি, ঢেঁড়স, ধুন্দল, ঝিঙ্গা, করলা, পেঁপেসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর প্রথম দিকে সবজি চাহিদা কম ছিল। তবে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি তুলে নেয়ার পর থেকেই সবজির দাম বাড়তে থাকে। কয়েক দফা দাম বেড়ে এখন বেশিরভাগ সবজির কেজি ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। একাধিক সবজির কেজি একশ টাকাও ছুঁয়েছে।
সবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মহামারি করোনার প্রেক্ষিতে ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এ সময় সবজির চাহিদা তুলনামূলক কম ছিল। তবে সাধারণ ছুটি তুলে নেয়ার পর সবজির চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। এসব কারণেই সবজির দাম বেড়েছে।
শুক্রবার (১৯ জুন) বিভিন্ন কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মান ও বাজার ভেদে বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকা। রোজার শুরুতেও বেগুনের কেজি একশ টাকা ছুঁয়েছিল। তবে ঈদের পর কয়েক দফা দাম কমে বেগুনের কেজি ৩০-৪০ টাকার মধ্যে চলে আসে।
একশ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আর এক সবজি গাজর। করোনার শুরুতে গাজরের কেজি ছিল ১০-২০ টাকার মধ্যে। এমনকি রোজার মধ্যেও গাজরের কেজি ১০-২০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু ঈদের পর থেকেই গাজরের দাম বাড়তে থাকে। কয়েক দফা দাম বেড়ে এখন গাজরের কেজি মানভেদে ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদের পর অস্বাভাবিক দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটোও। গাজরের মতো করোনার শুরুতে এবং রোজায় পাকা টমেটোর কেজি ছিল ১০-১৫ টাকার মধ্যে। এখন পাকা টমেটোর দাম বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা।