সবজির সঙ্গে ডিমের বাজারও চড়া
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আগের সপ্তাহের মতোই রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। নতুন করে দাম না বাড়লেও ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। সবজির এই চড়া দামের পাশাপাশি নতুন করে দাম বেড়েছে ডিমের। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ডিমের দাম ১০ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চারটি সবজির কেজি একশ টাকা ছুঁয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর, বেগুন ও করলা। বাকি সবজিগুলোর বেশিরভাগ একশ টাকার কাছাকাছি। এর মধ্যে বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো। বাজার ও মান ভেদে পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। এর পরেই রয়েছে গাজর। মান ভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। করলা (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। তবে বড় করলা ৭০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে।
সবজির এমন চড়া দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে বন্যা এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সারাদেশে সবজির উৎপাদন কমে গেছে। যার প্রভাব সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। আর টমেটো ও গাজরের এখন মৌসুম না। এ কারণে এই দুই সবজির দাম সবচেয়ে বেশি।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আজাদ বলেন, মৌসুম না হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই এখন পাকা টমেটো ও গাজরের দাম বেশি। এর সঙ্গে বন্যা ও বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। যে কারণে অন্যান্য সবজির দামও কয়েক সপ্তাহ ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজার ও মান ভেদে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা। পাশাপাশি চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, পটল ও ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, কাকরোল ৬০-৭০ টাকা, কচুর মুখি ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা। লাউয়ের পিস ৬০-৭০ টাকা, চাল কুমড়োর জালির পিস ৪০-৫০ টাকা, পেপের কেজি ৪০-৪৫ টাকা এবং কাচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু ও কাঁচা মরিচ। এক কেজি আলুর দাম জন্য ৩৫-৩৭ টাকা। আর কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।