সহিংসতা বন্ধে সতর্ক করা হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে: সিইসি

সহিংসতা বন্ধে সতর্ক করা হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে: সিইসি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অনেক সময় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও সহিংসতা হয়েছে। এখনো তারা আশঙ্কা করেন আগামীতেও এই ধরনের সহিংসতা হতে পারে। আমাদের কাছে আবেদন রেখেছেন- আমরা যেন বিষয়টা বিবেচনায় নেই, আমাদের দিক থেকে করণীয় যা আছে তা যেন করি। আমরা বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি।

নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সতর্ক করা হবে।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সিইসি বলেন, ‘আমরা এটাও বলেছি যে এই বিষয়টা দেখবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যখন নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট হয়েছে আমাদেরও সংশ্লিষ্টতা এসে যায়।

তাই আমরা চিঠি দিয়ে সরকার, ডিসি, এসপিদের এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহিত করব, যাতে দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা না হয়। আমরা কঠোরভাবে তাদের সতর্ক করে দেব।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটা কখনোই আকাঙ্ক্ষিত নয়। এটা কখনো সভ্য আচরণ হতে পারে না।

এটা অমানবিক একটা বিষয়। আমরা এই ধরনের অমানবিকতাকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে তাদেরকেও অনুরোধ করেছি যে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপনারা আপনাদের শঙ্কার কথা ব্যক্ত করে রাখেন। আমরা নির্বাচনের পর ১৫ দিন পর্যন্ত আমাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর থাকে। আমরা সেদিকে নজর রাখব।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্বাচনোত্তর হোক, নির্বাচনোত্তর না হোক- দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, সংঘাত যাতে না হয় এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের। যদি এটা না হয় এর দায়-দায়িত্ব তারাই বহন করবেন।’

বৈঠকে সিইসি ছাড়াও অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। এ সময় তারা নির্বাচন কমিশন বরাবর ১০ দফার স্মারকলিপি পেশ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *