পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ অবস্থায় বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখানো হয়েছে।
উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন ছত্রিশগড়ে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে মহারাষ্ট্র ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কি.মি., যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ঘণ্টায় ২৫-৩০ কি.মি. পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) পর্যন্ত বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পাবে। বর্ধিত পাঁচ দিনের শুরুতে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহবৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে খেপুপাড়ায়, ৯৭ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ৩৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।