পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ভারতের উত্তরাখণ্ডে টানেল ধসের এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি টানেলে আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে। টানেলে বার বার ধসের কারণে শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভোরে আরও ভারী ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয়েছে টানেল খননের জন্য। সুড়ঙ্গের ছাদ খুঁড়ে ওই শ্রমিকদের উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আজ থেকেই ওই কাজ শুরু হবে। এতে করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই উদ্ধার সম্ভব হবে বলছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শ্রমিকদের বিষয়ে নিয়মিত রাজ্য সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
সোমবার সকালেও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সাথে টেলিফোনে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তিনি টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের মনোবল বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এক বিবৃতিতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয় যে, ‘শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় উদ্ধার সরঞ্জামসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র ও উত্তরাখণ্ড সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে শ্রমিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয় যে, আটকে পড়া শ্রমিকদের মনোবল বজায় রাখা দরকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
২ কিলোমিটার নির্মিত টানেল অংশের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত ও মনোবল বজায় রাখার জন্য ৪ ইঞ্চি পাইপের মাধ্যমে তাদের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য, শুকনো ফল, ওষুধ এবং পানি সরবরাহ করা হয়েছে।
গত রোববার ভোরবেলায় ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের সিল্কিয়ারা থেকে দান্দলগাঁও পর্যন্ত নির্মাণাধীন টানেলের ১৫০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। ভূমিধসের কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে অনুমান। আর এ ধসের কারণেই ভেতরে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক।