সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় কী হতে যাচ্ছে?

সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় কী হতে যাচ্ছে?

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সম্ভবত এখন একেবারে চূড়ান্ত ধাপে আছে।

যে যুদ্ধবিরতি চলছে ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময়ের, সেটা হয়তো ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী- আইডিএফকে চার থেকে নয় দিন দেরি করাবে। তবে সেটা নির্ভর করছে হামাস কতজন জিম্মিকে মুক্তি দিতে চায় তার উপর।

 

ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, জিম্মি মুক্তির এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই, গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার যে যুদ্ধ, সেটা আবারও শুরু হবে এবং তা শেষ হতে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন লাগতে পারে।

 

কিন্তু যদি ইসরায়েলি বাহিনী এরপর গাজার দক্ষিণে মনোযোগ দেয়, যার বেশ পরিষ্কার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, তখন পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে?

 

ইসরায়েল শপথ নিয়েছে, হামাস যেখানেই থাকবে, তাদের ধ্বংস করা হবে।

 

ধারণা করা হচ্ছে এই গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও মোহাম্মদ দেইফ, আরও যোদ্ধাদের সাথে দক্ষিণেই কোথাও আছেন এবং খুব সম্ভবত ইসরায়েলিদের জিম্মিদের একটা বড় অংশও তাদের সাথে আছে।

 

এখন যদি ইসরায়েল উত্তরে যেটা করেছে, সেই একই রকম অপারেশন দক্ষিণেও করতে চায়, তাহলে পশ্চিমাদের বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কি তখনও অটুট থাকবে?

 

গাজা উপত্যকার আনুমানিক ২২ লাখ মানুষ এখন দক্ষিণের দুই তৃতীয়াংশ অংশে এসে জমায়েত হয়েছে। তাদের অনেকেই এখন গৃহহীন ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সামনে কি তাহলে আরও বড় মানবিক বিপর্যয় অপেক্ষা করছে?

এছাড়া আল-মাওয়াইসিতে বালুময় মাঠের মধ্যে স্থাপিত তাবুতে আশ্রয় নেয়া শত শত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকও আছে।

 

ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউ) বলছে, গত ৭ই অক্টোবর থেকে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগ এখন দক্ষিণে গাদাগাদি করে থাকছে।

 

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে কারণ হাজার হাজার লোক স্কুল, হাসপাতাল এবং তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে।

 

বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের আগাম বৃষ্টি, যা কিছু জায়গায় বন্যাও নিয়ে এসেছে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *