সামাজিক অবক্ষয় রোধে গ্রন্থাগারের ভূমিকা

সামাজিক অবক্ষয় রোধে গ্রন্থাগারের ভূমিকা

  • মো. ইউনুস আলী

‘অসির চেয়ে মসি বড়’

এই উক্তিটি বিশেষণের অতিশায়ন আর তা আমরা ছোটবেলা থেকেই বুঝে না বুঝে হৃদয়ঙ্গম করেছি। আমরা বাঙালি জাতি অসির ব্যবহার সম্পর্কে অবগত না থাকলেও অপব্যবহৃত মসির স্টিমরোলার রীতিমত আমাদের হতভম্ব করে ছাড়ে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষকে অর্থাৎ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে যদি প্রশ্ন করা হয়: ভাই, আপনি আপনার কাজে ঘুষ খান আবার দুর্নীতিও করেন কেন? হয়তো-বা সে এক গাল হাসি হেসে বলবে: আরে ভাই, আমাদের তো মসিই নাই যাদের কাছে আছে মসি তারা অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে টেবিলের নিচ দিয়ে ঘুষ খান আবার দুর্নীতির সিঁধও কাটেন।

আমরা জানি না কলমের খোঁচা দিতে আর তাও বলতে পারি না দুর্নীতি কোথায়, কেন, কীভাবে করতে হয়। হায় অভাগা জাতি আমরা! বলতে কষ্ট হয় তবুও বলতে হয় আমরা বাঙালি জাতি মীরজাফর থেকে শুরু করে ইয়াহিয়া খান পর্যন্ত স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছি। আকাঙ্ক্ষা করেছি আমাদের দেশের গরীব-দুঃখী মানুষের মুখে চাঁদের হাসি ফোটাতে আর দুর্নীতি, ঘুষমুক্ত, নিপীড়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে। পূর্বসূরীদের কথায় আমরা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে একত্র হয়ে স্বাধীনতা নামক সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে পরলেও শোষণ, ঘুষ, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে আজও এক কাতারে আসতে পারিনি।

স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু বর্তমানে পদে পদে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সবচেয়ে স্পর্শকাতর পরিস্থিতি হচ্ছে একজন শিক্ষিত মানুষ অমানুষের খাতায় নাম লিখিয়ে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ঘুষ, প্রতারণা এবং গুম, খুনের মতো সামাজিক অবক্ষয়মূলক কাজ নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছে। এটা কি ছিল আমাদের দুই শ বছরের সংগ্রামের প্রতিদান? আর এক্ষেত্রে মসি প্রসূত জ্ঞানের সংরক্ষণাগার গ্রন্থাগার কি পারবে ঘূণে ধরা সমাজের হাল ধরতে। আসুন দেখি!

সামাজিক মূল্যবোধ, উদারতা, ন্যায়পরায়ণতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, কল্যাণবোধ, ধৈর্য, নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধ, পারস্পরিক মমত্ববোধ, অধ্যবসায়ী ইত্যাদি নৈতিক দিক সমাজ থেকে আস্তে আস্তে বিলীন হবার মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয় প্রকট আকার ধারণ করছে। এভাবে সমাজে চলার পথ অত্যন্ত দুর্গম হয়। আর সেখানে কোনো একসময় সমাজ তার ঐতিহ্য হারিয়ে মুখ থুবড়ে পতিত হবে। যা কখনও কাম্য নয়।

সদ্য প্রসূত একটা শিশু তার পরিবার, সমাজের কাছ থেকে আস্তে আস্তে নৈতিকতা, মূল্যবোধ, মানবিকতা এবং জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে। কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে বর্তমান সমাজের সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেলেও নৈতিকতা, মানবিকতার অধঃপতনের ফলে সমাজে চরম অবক্ষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেখানে বলা হয়েছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত এবং পিতার সন্তুষ্টি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি আর পিতার অসন্তুষ্টি আল্লাহ তাআলার অসন্তুষ্টি সেখানে সন্তান খবরের কাগজে শিরোনাম হচ্ছে বাবা-মা হত্যার দায়ে। সন্তান বাবার লাশ খাটিয়ায় রেখে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত।

আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত আমরা আমাদের সমাজকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি! বাল্যবিবাহ রোধে আমরা জোড় দিলেও আমরা মেয়েদের নিরাপত্তা বিধানে মনে হয় উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছি। কতটা নিচে নামলে এমন ঘটতে পারে যে, ধর্ষকের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য রাস্তায় নামতে হয়। অপহরণ আর মাদকের ভয়াল থাবায় আমাদের মেয়েরা যেন নিত্যদিনের পণ্য। শিক্ষককে বলা হয় জাতি গড়ার কারিগর সেই শিক্ষকের কাছেও মেয়ে শিক্ষার্থী আজ রেহাই পাচ্ছে না।

দুর্নীতির ফলে বহু মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের জীবন শঙ্কায় কাটাচ্ছে। যাদের সৎ সাহস আছে তারা রাস্তায় রাস্তায় বাদাম বিক্রি করে জীবন নির্বাহ করছে কিন্তু তাদেরকেও আমাদের হতভাগা সমাজ উপহাস কটূক্তি থেকে বাদ রাখছে না। তাই বাধ্য হয়েই যুবসমাজ অপহরণ, রাহাজানি, ব্ল্যাকমেইল, প্রতারণা, চল-চাতুরীর মতো মারাত্মক পাপের পথে নিজেকে ঠেলে দিচ্ছে। যা কখনো একটা সমাজের জন্য সুসংবাদ বয়ে আনে না। বর্তমান সমাজে অবক্ষয় মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এমন ভাবে ঢুকেছে যে আমরা মনে করি অনিয়মই প্রকৃত নিয়ম। দুর্নীতি ও যথাযথ সুশিক্ষার অভাব, অপরাধের শাস্তিহীনতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব, সুস্থ বিনোদনের অভাব ইত্যাদি সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য বিশেষভাবে দায়ী।

‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে’

কথাটি আমার কাছে ‘খাঁটি গরুর দুধ’-এর মত লাগে যদিও এটা অপপ্রয়োগ। দুধ যাইহোক গরু তো খাঁটি। উপরোক্ত কথাটা খাঁটি সত্য কিন্তু বাস্তবতাশূন্য। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে বক্তব্যটি রাজনৈতিক টেবিলে, অর্থনৈতিক খাতে ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে চায়ের কাপ পর্যন্ত ঝড় তুলে ফেলে; কিন্তু কাপের ধোঁয়া আমাদের নাক দিয়ে গেলেও নাকের পাশে যে কান আছে তা দিয়ে কখনই প্রবেশ করে না।

যদি বাচ্যটি আমাদের মস্তিষ্কে স্থান পেতো আমরা অবশ্যই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে সমৃদ্ধ করতাম। আর এজন্য আমরা গ্রন্থাগারমুখী জনস্রোত সৃষ্টিতে ভূমিকা পালনে জাতিকে অগ্রগামী করতাম। জ্ঞানার্জন, অধ্যবসায় এবং বইয়ের পাতার পর পাতা উল্টিয়ে বিচিত্র আস্বাদ গ্রহণ বিকল্প কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না।

সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকেই পৃথিবীটাকে সুন্দর থেকে সুন্দরতর করার প্রয়াসে মানুষ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান, কর্ম, সৃষ্টি ও লেখনীর মাধ্যমে সংরক্ষণ করেছে। আর এভাবেই ক্রমান্বয়ে গুহাচিত্র থেকে আমরা বর্তমান গ্রন্থ ও গ্রন্থাগারের রূপ দেখছি। একটি গ্রন্থ বা গ্রন্থাগারই পারে জাতির মাঝে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে একসাথে ধরে রাখার সেতুবন্ধন তৈরি করতে। একমাত্র গ্রন্থাগারই পারে অতীত থেকে শিক্ষা দিতে।

সমাজ-জাতি গঠনে যে জিনিসটা মুখ্য ভূমিকা পালন করে সেটা হলো বই। হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, বিনোদন, জাতীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতার ইতিহাস, কৃষ্টি কালচার, ঐতিহ্য ও আধুনিক প্রযুক্তির সবকিছুর যোগানদাতা বই। এজন্য গুণীজনের সিদ্ধান্ত যে জীবন চলার পথে বইয়ের মত অন্তরঙ্গ বন্ধু দ্বিতীয়টি আর নেই।

মানুষ- বিশেষ করে আজকের যুবসমাজ বই পড়ার আগ্রহকে পদদলিত করছে। নিজেদের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যকে কালের গর্ভে বিলীন করে দিচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সংস্কৃতির বদলে অপসংস্কৃতি আমাদের প্রজন্মকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। সমাজ তার প্রকৃত সংস্কৃতি মূল্যবোধ আস্তে আস্তে মনে হচ্ছে জাদুঘর গোপন করে ফেলছে। সামাজিক অবক্ষয় ব্যক্তি থেকে শুরু করে সামাজিক সংগঠনগুলোকে পর্যন্ত গ্রাস করে ফেলেছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ফলাফল : আমরা কেউই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিচ্ছি না।

আহার করা, পান করা, সন্তান জন্ম দেয়া, নিজের যত্ন নেয়া এগুলো মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণে কখনো সহায়ক বৈশিষ্ট্য হিসেবে দাঁড় করানো যায় না। মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য কিছু ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় সেটা হলো বিবেক-বুদ্ধি, বিচার এবং জ্ঞান। মানুষ এবং প্রাণীর উভয়েরই জ্ঞান বুদ্ধি আছে। কিন্তু মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি আর প্রাণীর জ্ঞান বুদ্ধির মধ্যে কিছু পার্থক্য দেখা যায় আর তা হলো মানুষ তার জ্ঞানকে হাজার হাজার বছর আগে থেকে অর্থাৎ, সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে নিজের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পৌঁছে দিতে মাটির বুকে, গুহার দেয়ালে আঁচর কাটার মাধ্যমে এমনকি পাথরের গায়ে খোদাই করে সংরক্ষণ করে গেছে। সেই জ্ঞানকে মানুষ কাজে লাগিয়ে ক্রমান্বয়ে নিজেদের উন্নতি ঘটিয়ে আজ আধুনিক বিশ্বে পদার্পণ করেছে।

ইতিহাসের যাবতীয় উত্থান-পতন, ঘটন-অঘটনের ডামাডোলে জ্ঞানের সংরক্ষণাগার অর্থাৎ গ্রন্থ ও গ্রন্থাগার আজও অপরিবর্তিত উদ্দেশ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে- তা আমরা বেমালুম ভুলে যাচ্ছি। সর্বোচ্চ আধুনিক যুগে বসবাস করেও গ্রন্থাগারকে চোখের দৃষ্টিতে না রাখায় পরবর্তী প্রজন্মকে অধঃপতনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারছি না।

স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রশ্ন হলো সমাজের স্বাভাবিক ও সুস্থ গতিপ্রবাহ রক্ষা করতে আমাদের গ্রন্থাগারের করণীয় কী। সমাজ বিনির্মাণের দায়িত্বই-বা কার। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বাস করে তাই তারা প্রত্যেকে আলাদা মানসিকতা ও রুচি বহন করে। এজন্য সবাইকে একসাথে এক সমান্তরাল ছাউনির মধ্যে নিয়ে আসা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার। তবে হ্যাঁ, সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করা, সামাজিক অপরাধ কমানো, সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করা, সমাজ কাঠামো ও সমাজের মানুষের আচরণ ও কার্যাবলী পরিবর্তন করতে আমরা গ্রন্থাগারের ব্যাপক প্রচার-প্রসার এবং যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে শুরু করতে পারি।

আমাদের তারকা, সেরা মনীষীদের আদর্শ ও তাদের চিন্তাধারায় নিজের আত্মাকে অবগাহন করাতে চাইতেই দৃষ্টি যায় তাঁদের রচিত গ্রন্থরাজি পানে। তরুণ প্রজন্ম বই পড়ার আনন্দ হৃদয়ে উপলব্ধি করতেই ছুটে যাবে নির্মল কোনো এক গ্রন্থাগারের পরিবেশে। প্রথাগত শিক্ষা আমাদের জাতিকে যা দিয়েছে তার চেয়ে হাজারগুণ বেশি দিয়েছে তারা, যারা নিজেকে গ্রন্থাগারে নিমজ্জিত করে রাখত।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে শত ব্যস্ততার মাঝেও একমাত্র গ্রন্থাগারই পারে সমাজের সকল ধর্ম, বর্ণ, বিভিন্ন চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের এক ছাউনির নিচে আনতে। এঁকে দিতে পারে প্রকৃত মানুষ হবার ছক। তাই আর দেরি কেন। আসুন, বিখ্যাত লেখক জন ড্রাইডেনের সাথে সুর মিলিয়ে বলি ‘We first make our habits, and then our habits make us.’ ইউনেস্কোর মতে, ‘মুদ্রিত বই, সাময়িকী অথবা অন্য যেকোনো চিত্রসমৃদ্ধ বা শ্রবণ-দর্শন সামগ্রীর একটি সংগঠিত সংগ্রহ হলো গ্রন্থাগার যেখানে পাঠকের তথ্য, গবেষণা, শিক্ষা অথবা বিনোদন চাহিদা মেটানোর কাজে বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহারকে সহজতর করার জন্য নিয়োজিত থাকবেন কিছু কর্মী।

জারমেইন গ্রিয়ার বলেছেন-

‘গ্রন্থাগার হচ্ছে শক্তি, সৌষ্ঠব, বুদ্ধিমত্তার ভাণ্ডার, শৃঙ্খলা, প্রসন্নতা এবং ধারাবাহিক কথা মনে করিয়ে দেয় এটি। গ্রন্থাগার মানসিক শক্তির এক বিশাল সরোবর, যা উষ্ণ নয়, আবার শীতলও নয়, নয় আলোকিত বা অন্ধকারাচ্ছন্ন। এটি এমন এক আনন্দ দেয় যা সুষম, নির্ভরযোগ্য, গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী। পৃথিবীর যেকোনো গ্রন্থাগারকেই আমার নিজের বাড়ি বলে মনে হয়, আমি পরিণত হই নিঃস্বার্থ, স্থিতধী এবং নিবেদিতপ্রাণ এক মানুষে।’ মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ গ্রন্থাগার সম্পর্কে বলেছেন ‘জ্ঞান ভিত্তিক আধুনিক সমাজ বিনির্মানে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তথ্য প্রযুক্তির যুগেও বিশ্বব্যাপী জ্ঞান অর্জনের অন্যতম সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

স্থিরভাবে বসুন শান্ত হউন। একটু চোখ বুজুন। ভাবুন আমি নিজে কোনো সামাজিক অবক্ষয়মুলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত নাই তো। আমার দ্বারা এমন কোন কাজ সংঘটিত হচ্ছে না তো যার মাধ্যমে আমার অধীনস্থ ব্যক্তিরা সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। আমার সন্তানেরা কি করছে, কোন দিকে হাঁটছে, কোথায় তাদের গন্তব্য, কী তাদের নেশা, আর কী-ই বা তাদের পেশা বা ইচ্ছা তা খোঁজ-খবর নিচ্ছি তো।

আসুন আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তাদের পড়ার টেবিলের সামনে ছোট্ট একটা আলমারি হলেও যুক্ত করে তাদের পছন্দের বই থেকে কিছু বই নিয়ে গ্রন্থাগার গড়ে দিই। তারা নিজের ইচ্ছায় নিজেকে সমৃদ্ধ করুক জ্ঞানে এবং বিশ্বাসে। তবেই আমরা পারব এই জাতিকে উদ্ধার করতে, ইনশাআল্লাহ।

  • লেখক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *