পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধ শুরু হয়েছে। রবিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু এই অবরোধ চলবে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
অবরোধের প্রথম দিন সকালে রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন প্রায় চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে সড়কে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতিও। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যথাসময়ে আসতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। অন্যদিকে, নাশকতা ঠেকাতে জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে অবরোধের প্রথম দিনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজুড়ে ১৫২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি প্লাটুন স্ট্যান্ডবাই রয়েছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকেদর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজুড়ে ১৫২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি প্লাটুন স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।”
অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগে শনিবার রাতে রাজধানীতে ছয়টি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাত ৮টা ২০ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে মতিঝিল, গাবতলী, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, আগারগাঁওয়ের তালতলা ও কাফরুল থানা এলাকায় আগুন দেওয়ার এসব ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ৭১টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটল। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন একজন যাত্রী।
এছাড়া শনিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং রাতে গাজীপুরে একটি ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়া হয়।
হামলা ও সংঘর্ষের মধ্যে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ডের প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয় বিএনপি।এরপর দলের নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ দেয় বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা দলগুলো।দ্বিতীয় দফায় অবরোধ দেওয়া হয় ৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত। এরপর তৃতীয় দফায় অবরোধ দেওয়া হয় ৮ ও ৯ নভেম্বর।