সারা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির জাগরণ তৈরি হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

সারা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির জাগরণ তৈরি হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির জাগরণ তৈরি হয়েছে। এর সুফল হিসেবে রূপকল্প-২০২১ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। ২৬ থেকে ২৮ জানুয়ারি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন, প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ এ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ানো, সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বাড়ানো, নতুন সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সব সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা ব্যবহার করতে শুরু করেছি বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ এর সেবা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১- এর আলোকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর আমাদের লক্ষ্য হলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্মার্ট বাংলাদেশে হবে স্মার্ট গভর্মেন্ট, স্মার্ট জনগোষ্ঠী এবং স্মার্ট শিল্প কলকারখানা। ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে রোবোটিকস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যানো টেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, জৈবপ্রযুক্তি অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনকল্যাণে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৫জি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদির সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, সব উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি, সব জেলায় জেলা তথ্য বাতায়ন এবং সারাদেশে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আট হাজার ৫০০টি ডাকঘরকে পোস্ট ই-সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগকে দ্রুত ও সহজতর করা হয়েছে। করোনাকালে ভিডিও কনফারেন্সিং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নানান উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক যোগাযোগসহ প্রতিটি খাতে অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩’ এর মাধ্যমে দেশের জনগণ টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরো জানতে পারবেন এবং সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল রেখে ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *