সিনথেটিক মাদক ‘জোম্বি’ বিষয়ে সতর্কতা জারি

সিনথেটিক মাদক ‘জোম্বি’ বিষয়ে সতর্কতা জারি

সিনথেটিক মাদক ‘জোম্বি ড্রাগ’ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। কোনভাবেই এ মাদক যেন বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। বিমানবন্দরে যাতে ‘জোম্বি ড্রাগ’ বা ‘ট্রাঙ্ক’-এর বিষয়ে সতর্কতা বাড়ানো হয়, সেজন্যই সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা থেকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘মাদকটি মানবদেহে মারাত্মক ইনফেকশন, দৃষ্টিভ্রম এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।

এটি অল্প পরিমাণে সেবন করলে সেবনকারী বাস্তব ভুলে কল্পনার জগতে বিচরণ করে। সামান্য বেশি সেবনে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পড়ে।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন ও ইনজেকশনাল ড্রাগের আধিক্য বেশি। এগুলোর পাশাপাশি ইদানীং ট্যাপেন্ডাডল নামে আরেকটি মাদকের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে দেশে, যেটি ইয়াবার বিকল্প হিসেবে মাদকবেসীরা সেবন করে।

এ ছয় ধরনের মাদক মূলত স্থলসীমান্তের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করে। সে কারণে সহজেই দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এলএসডি, ডিওবি জাতীয় কিছু মাদক আছে যেগুলো আকাশপথে দেশে আসে। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক স্ক্যানিংসহ নানা সতর্কতার কারণে এসব মাদক এখনও দেশে ততটা সহজলভ্য হয়ে উঠতে পারেনি বলে দাবি ডিএনসির কর্মকর্তাদের।

বিষয়টি প্রথমে অধিদপ্তরের নজরে আনেন রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (গোয়েন্দা) মোহা. জিল্লুর রহমান। তিনি গত ৩০ অগাস্ট এ বিষয়ে ১১ পাতার একটি প্রতিবেদন পাঠান ঢাকায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে আড়াই লাখের বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী রয়েছেন। দেশে তাদের যাতায়াত ছাড়াও অর্থনৈতিক যোগাযোগ আছে। তাই এটি সহজেই বাংলাদেশে প্রবেশ করার শঙ্কা রয়েছে।

এর আগে, গত ২০ আগস্ট ‘মাঙ্কি ডাস্ট’ নামে আরেক মাদকের বিষয়েও সতর্কতা জারি করেছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ওই মাদকটি যুক্তরাজ্যে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *