পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সারাদিন ভোগান্তির পর অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সিলেট সার্কিট হাউসে প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম।
পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে মঙ্গলবার ভোর থেকে সিলেট জেলায় কর্মবিরতি শুরু করেন পরিবহন শ্রমিকরা।
‘সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ’-এর ডাকে এ আন্দোলন শুরু হয়।
ময়নুল ইসলাম বলেন, “আমরা ৫ দফা দাবিতে ধর্মঘট করেছিলাম। ১ দিন ধর্মঘট করার পর বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় আমাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। আমরা প্রশাসনের আশ্বাসে আপাতত আগামী অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করেছি।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক জাকির হোসেন ও সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লাঠি হাতে সিলেটের বিভিন্ন রাস্তায় ‘পিকেটিং’ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা কোনো ধরনের গণপরিবহন বা পণ্যবাহী গাড়িতে চলতে দেননি। এতে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা এবং চাকরিজীবীরা বেশ ভোগান্তিতে পড়েন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাত ৮টায় পরিবহন শ্রমিক নেতাদের নিয়ে সিলেট সার্কিট হাউসে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করা হয়।
শ্রমিকদের দাবিগুলো হচ্ছে – সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার ও উপ-কমিশনারের (ট্রাফিক) অপসারণ; ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি ও রেকার বাণিজ্যসহ মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ করা; সিলেটে শ্রম আদালতের প্রতিনিধি ও শ্রমিক লীগের নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারকারী নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার করা; উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া; ভাঙাচোরা রাস্তাগুলোর দ্রুত সংস্কার করা; নতুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ ও বিক্রয়কৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া ও অনুমোদনহীন গাড়ি যেমন- অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ডাম্পিংকৃত গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা।