পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের প্রগতি গেট সংলগ্ন রেললাইনে ট্রেনের সবচেয়ে পেছনের বগিটি লাইনচ্যুত হয়। সীতাকুণ্ড রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার মোজাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চট্টলা এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় সীতাকুণ্ড স্টেশনে চট্টগ্রামমুখী দুটি ট্রেন আধ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে ছিল।
এদিকে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা কী কারণে ট্রেনের বগিটি লাইনচ্যুত হয়েছে তাও খতিয়ে দেখেন। এ সময় লাইনচ্যুত হওয়া বগিটি ক্রেন দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।
যাত্রীদের বরাতে রেল পুলিশ জানান, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের শুকলাল হাটের প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ গেট এলাকা অতিক্রমের সময় হঠাৎ বিকট শব্দে সবচেয়ে পেছনের বগিটি লাইনচ্যুত হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে লাইনচ্যুত হওয়া বগিটিসহ প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সিরাজ ভূঁইয়ার রাস্তার মাথা এলাকা যাওয়ায় পর ট্রেনটি থেমে যায়। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করছিলেন অনেক যাত্রী।
বগি লাইনচ্যুত হওয়া চট্টলা এক্সপ্রেসে করে বাড়ি ফিরছিলেন কুমিল্লার লাকসাম এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন, সৌরভ হোসেন ও মানিক মিয়া। তাঁরা জানান, বগিটি লাইনচ্যুত হওয়ার সময় বিকট শব্দ হয়। এ সময় ট্রেনের ভেতরে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। যাত্রীরা ভয় পেয়ে যান। ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়া পেছনের বগিসহ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়ে তারপর থামে। তাঁদের ভয় এখনো ভয় কাটেনি। তাই বাসে করে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে যান।
রেল পুলিশের সীতাকুণ্ড ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক আমজাদ হোসেন জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হলেও এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। দুর্ঘটনায় ট্রেনের চাকার সংঘর্ষে ৫০-৬০টি স্লিপার উপড়ে গেছে। এ ছাড়াও কয়েকটি স্লিপারের নাট-বল্টু খোলা ছিল।
সীতাকুণ্ড রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার মোজাম্মেল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ঘটনার পর সীতাকুণ্ড স্টেশনে চট্টগ্রামমুখী দুটি ট্রেন আধা ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে ছিল। তবে দুর্ঘটনা পরবর্তীতে লাইনচ্যুত ট্রেনের বগিটি সরিয়ে নিলে ট্রেন দুটি সীতাকুণ্ড স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রেললাইনের জয়েন্টের নাট-বল্টু খুলে যাওয়ার ফলে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।