মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আমাদের সকলের মুরব্বি হযরত মাওলানা আহমদ শফী সাহেব এবং বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, আমি প্রথমেই আল্লাহ তায়ালার শোকর আদায় করছি বহু চড়াই উৎরাই পার হওয়ার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা এবং হযরত শফী সাহেব কওমি মাদরাসার প্রতি তার দরদ, কওমি ওলামায়ে কেরামের প্রতি তার দায়িত্ববোধ সেই উদ্বুদ্ধ হয়ে আজকে আমরা যে পর্যায়ে এসেছি এই পর্যায়ে আসতে আল্লাহ তাআলাই আমাদেরকে সাহায্য করেছেন। আমি যারা আজ পর্যন্ত এই নিয়ে চেষ্টা করেছেন সকলকেই ধন্যবাদ ও শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি ।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চেতনার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের শক্তির সঙ্গে এই যে ঘনিষ্ঠতা, ব্যবধান যে কমে এলো এই কমে আসাটাও আমি মনে করবো আমাদের দেশের জন্য একটা উজ্জ্বলতম দিন।
আমি আরও শুকরিয়া আদায় করছি যে আজকে একদিকে যেমন এক বিরাট ঐতিহাসিক দিন এই কারণে যে, অবহেলিত, একপাশে ঠেলে রাখা এই দেশের প্রকৃত আলেম যারা তাদেরকে আজকে একটা মর্যাদায় উন্নীত করা দুনিয়ার ক্ষেত্রে এইজন্য যেমন আনন্দের সাথে সাথে এইটাও আনন্দের যে, আমি প্রধানমন্ত্রীকে মনে করাতে চাই ছিয়াসির দিকে প্রথম ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে বসেছিলেন ঐসব ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে ঐ চেতনা নিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, আজকে ওলামায়ে কেরামের সাথে কিছু দলের ষড়যন্ত্রের কারণে সরকারের যে একটা দূরত্ব ছিলো আমি আজকে এই জন্যও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আজকে হযরত শফী সাহেব দা. বা.-এর নেতৃত্বে উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতার পক্ষের, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চেতনার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের শক্তির সঙ্গে এই যে ঘনিষ্ঠতা, ব্যবধান যে কমে এলো এই কমে আসাটাও আমি মনে করবো আমাদের দেশের জন্য একটা উজ্জ্বলতম দিন।
সাথে আমি একটা আরজ করতে চাই এই স্বীকৃতির বিষয়টা যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি অন্তত একটা অধ্যাদেশের মাধ্যমে এবং পরে একটা আইন সৃষ্টি করে, আইন বানিয়ে, আইন পাশ করে এটা করার জন্য আমি সবিনয়ে অনুরোধ জানাবো। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত আইনগত ভিত্তি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত একটা প্রজ্ঞাপনের সেই মূল্য নাই, একটা আইনের যে মূল্য থাকে । তাই আমি এদিকে বিনয়ের সাথে দৃষ্টি আকর্ষণ করবো।
স্বীকৃতির বিষয়টা যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি অন্তত একটা অধ্যাদেশের মাধ্যমে এবং পরে একটা আইন সৃষ্টি করে, আইন বানিয়ে, আইন পাশ করে এটা করার জন্য আমি সবিনয়ে অনুরোধ জানাবো।
সাথে সাথে আরেকটা বিষয়ে আমাদের উদ্বিঘ্ন তা- প্রধানমন্ত্রীকে সবসময় পাওয়া আমাদের জন্য মুশকিল, তাই এই সুযোগে আমাদের একটা বিচলতার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জ্ঞাপন করতে চাই যে, আজকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে যে মূর্তির সামনে আমাদেরকে করা হচ্ছে ঈদের ঈদগাহর সঙ্গে ঈদের নামাযটা মুসল্লিরা এখানে আদায় করবে এইটা চিন্তা করলেও অমরা অত্যন্ত বিচলিত বোধ করছি।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা এবং তার কর্মকৌশলের উপর আমার আস্থা আছে, তিনি আগামী ঈদ আসার আগেই লাখ লাখ মানুষ এইখানে ঈদে জমায়েত হবে ঢাকার সবচেয়ে বড় ঈদগাহ জাতীয় ঈদগাহ এটা। সাথে সাথে আমি আরেকটা অনুরোধ করতে চাই, আরেকটা বিষয় আমাদেরকে অস্থির করছে তা হলো মসজিদের জায়গা যে কোন সময় এ্যাকোয়ার করানোর একটা আইন প্রস্তুত করা হচ্ছে এই ব্যাপারে শরীয়তের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলো মসজিদ তৈরী করার পরে এই মসজিদ থেকে আসমান পর্যন্ত জায়গাটা পবিত্র হয়ে যায়, মসজিদের হুকুমে হয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের সামনে যে মূর্তির সামনে আমাদেরকে করা হচ্ছে ঈদের ঈদগাহর সঙ্গে ঈদের নামাযটা মুসল্লিরা এখানে আদায় করবে এইটা চিন্তা করলেও অমরা অত্যন্ত বিচলিত বোধ করছি।
এই ধরনের আইন করার আগে প্রধানমন্ত্রীর ইসলামের প্রতি যে দরদ, আল্লাহর প্রতি যে তার আনুগত্য এই বিষয়টিও নজরে আনবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি দেখেছি যে কয়দিনই ওনার সাথে দেখা হয়েছে ওলামায়ে কেরামের প্রতি তার যে দরদ আর এইটা যে ওনার পার্টিকে সমর্থন করে আর যে ওনার পার্টিকে সমর্থন করে না তার প্রতিও । আমি আরও ধন্যবাদ জানাতে চাই এই জন্য, যে ক্ষত কিছু লোক তৈরী করতে চাচ্ছিলো শাপলা চত্বরের নামে তিনি সেই ক্ষতকে ভুলে সবাইকে বুকে টেনে নিয়েছেন, তাই যে ক্ষতগুলি আজ কোর্টে ঘুরছে এইব্যাপারেও তিনি চিন্তা করবেন, উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আমার মনে হয়।
যে ক্ষত কিছু লোক তৈরী করতে চাচ্ছিলো শাপলা চত্বরের নামে তিনি সেই ক্ষতকে ভুলে সবাইকে বুকে টেনে নিয়েছেন, তাই যে ক্ষতগুলি আজ কোর্টে ঘুরছে এইব্যাপারেও তিনি চিন্তা করবেন
প্রধানমন্ত্রীর এই যে ঐকান্তিকতা এবং আহমদ শফী সাহেব সকলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেমন সবকিছু ভুলে ডেকেছেন তিনিও তেমনি সকলকে নিয়ে তার ডাকে সাড়া দিয়েছেন । ভবিষ্যতেও যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে তবে তা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।