পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সৌদি আরবে জারি করা কারফিউসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে। ভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকায় এবং নাগরিকদের জীবন স্বাভাবিক করার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে কারফিউ প্রত্যাহার করলেও সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে গুনতে হবে জরিমানা।
এছাড়া পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারামসহ ওই অঞ্চলের দেড় হাজারের বেশি মসজিদ রোববার (২১ জুন) ফজরের নামাজের সময় থেকে খুলে দেয়া হয়েছে। রোববার স্থানীয় সকাল ৬টা থেকে কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
ফলে সৌদিতে সব অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম আগের মতো স্বাভাবিকভাবেই পরিচালিত হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। নইলে গুনতে হবে জরিমানা। ঘর থেকে বের হলেই যথাযথ নিয়মে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও শারীরিক তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে।
জনসমাগম থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এক স্থানে সর্বোচ্চ ৫ জনের বেশি জড়ো হতে পারবে না। পৌর, সামাজিক ও পল্লীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবার থেকে সেলুন ও বিউটি পার্লারগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলতে পারবে। তবে মুখে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করতে হবে এবং শুধু চুল কাটা ও সেভ করা যাবে একবার ব্যবহার যোগ্য উপকরণ দিয়ে।
কর্মক্ষেত্রে ৭০ শতাংশের বেশি উপস্থিতি না রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ওমরাহ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থা চালু থাকবে। এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে আসা-যাওয়ায় এখন আর বাধা নেই।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য দেশটির নাগরিকদের জন্য দুটি অ্যাপস চালু করা হয়েছে। তাবাউদ ও তাওয়াক্কালনা নামে অ্যাপস দুটি সবাইকে ডাউনলোড করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় ৫০ জনেরও বেশি লোকের জমায়েত করা নিষিদ্ধ করেছে। তবে সব মসজিদে সালাত আদায় করতে পারবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে এবং মুখে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, যারা এই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ লঙ্ঘন করবে, তাদের জরিমানা ও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।