পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রিন্সেস রিমা বিনতে বান্দার আল সৌদের নাম ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। এরইসাথে রিমা বিনতে বান্দার আল সৌদ হবেন প্রথম কোনো নারী যিনি সৌদি রাজতন্ত্রের দূত হিসেবে কাজ করবেন।প্রিন্সেস রিমা তার শৈশবে বেশ কিছুদিন ওয়াশিংটনে কাটিয়েছিলেন।
শনিবার এক রাজকীয় ডিক্রি মারফত তার নাম ঘোষণা করে সৌদি সরকার।
এদিকে রিমা এমন একটি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরবের দূতের দায়িত্ব নিচ্ছেন যখন তাঁর দেশকে সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা সইতে হচ্ছে।
যদিও কিছুদিন পরস্পরবিরোধী নানা বক্তব্য দেয়ার পর সৌদি আরব কার্যত স্বীকার করে নেয় যে এক সময়ের রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ মিস্টার খাসোগজি ইস্তান্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর খুন হয়েছিলেন।
মৃত্যুর আগে জামাল খাসোগজি ওয়াশিংটন পোস্ট এ কলাম লিখতেন যেখানে তিনি সৌদি সরকারের সমালোচনা করতেন প্রায়ই।
যদিও সৌদি আরব ওই হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের কোনো ভাবে সম্পৃক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই দাবী নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্তের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন।
সম্প্রতি কংগ্রেস সদস্য সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের নানা দিক এমনকি পরমাণু প্রযুক্তি ও ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়েও তদন্তের কথা জানিয়েছে।
প্রিন্সেস রিমা যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর দেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেবেন প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের কাছ থেকে। যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের ছোটো ভাই খালিদ বিন সালমানকে ইতোমধ্যেই সৌদি আরবের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।আর প্রিন্সেস রিমা অনুসরণ করছেন তা বাবা বান্দার বিন সুলতান আল সৌদের পদাঙ্ক। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে শুরু করে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আর সে কারণেই প্রিন্সেস রিমা কার্যত বড় হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে এবং পড়ালেখা করেছেন জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৫ সালে সৌদি আরবে ফিরে এসে তিনি সরকারী ও বেসরকারি উভয় খাতেই কাজ শুরু করেন। বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি।
নারী অধিকারের পক্ষে কাজ করার জন্য তার পরিচিতি রয়েছে যদিও তার দেশের নারী অধিকারের রেকর্ড খুব একটা সুখকর নয়। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছিলেন যে কিভাবে খেলাধুলায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়। স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রে কাজ করার জন্যও পরিচিতি রয়েছে প্রিন্সেস রিমার।