১৮ই আগস্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা ভাদ্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ১৯শে মহর্রম, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম :: শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক আনন্দের সংবাদ তারা স্কুলে ফিরবে। আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় করোনা সংক্রমণও বেড়ে যেতে পারে-এমন শঙ্কা আছে। সতর্ক হলে সেটা শঙ্কা জয় করা সম্ভব। পিইসি পরীক্ষার্থীরা ৫ দিন আর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ৬ দিন ক্লাস করবে, বাকিরা সপ্তাহে একদিন। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। টানা এক বছর ১৩ দিন পর খুলছে দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ মার্চ প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। জুলাই মাসে নেওয়া হবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের অবশ্য এখনই ক্লাসে যেতে হবে না। অব¯া বুঝে পরে তাদের ব্যাপারে আলাদা ঘোষণা আসবে। আর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে ২৪ মে। এর এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে খুলে দেওয়া হবে আবাসিক হলগুলো। হলে অবস্থান নির্বিঘœ করতে এই সময়ের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করা হবে। দেশের যে কোনো টিকাদান কেন্দ্রে তারা টিকা দিতে পারবেন। আর স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা খোলার আগে শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করা হবে। গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এর আগে ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ইস্যুতে গত শনিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সিদ্ধান্ত অবহিত করেন। তিনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও এখন শুধু পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বা পিইসি পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৫ দিন স্কুল-মাদ্রাসায় যাবে। এ ছাড়া দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বা এসএসসি-দাখিল এবং এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৬ দিনই স্কুলে যাবে। প্রথম থেকে চতুর্থ এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টমের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন করে ক্লাসে যাবে। তবে জেএসসি পরীক্ষার্থী বা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কী করবে তা জানাননি শিক্ষামন্ত্রী।
এদিকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন বিকালেই হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের প্রশমিত করতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এতে উলটো ফল হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও নগর-মহানগরে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত শনিবারও রাজশাহী, টাঙ্গাইল এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এই বৈঠক ডাকা হয়।
আমরা আশাবাদি, দেশের স্কুলগুলো শিক্ষার্থীরা নিরাপদ থাকবে। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় আরও অধিকতর যতœ নেওয়া হবে কোমলমতি শিশুদের।