পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ব্যবসা ও সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ মানুষের নাগরিক ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যে স্বপ্ন ধারণ করে স্বাধীনচেতা মানুষ নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে দেশকে পাকিস্তানিদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন, সেই স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছর পরও দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণ হয়নি। শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ হলেও এখন সর্বক্ষেত্রে চরম বৈষম্য বিরাজ করছে।’
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টনের আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘বিজয়ের ৫৩ বছর; প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যখন বলেন— ভারত আছে তো আমরা আছি। তখন আমাদের শঙ্কা হয়— আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে। সরকারের অতি তাঁবেদারির কারণে ভারত বাংলাদেশকে তাদের অঙ্গরাজ্য মনে করে যা ইচ্ছে তাই করছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পূর্বে ভোটাধিকার কেড়ে নেয় পাক হানাদার বাহিনী, আর এখন ভাত ও ভোটাধিকার কেড়ে নেয় বর্তমান সরকার। পাকিস্তান আমলে মানুষ ভোট দিতে পারতো, এখন মানুষ ভোটও দিতে পারছে না। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য এখন অনেক বেশি। সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মূল্যবোধ ও অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধ হয়েছিল।’
পাতানোর নির্বাচন বাতিল করে দেশকে ভয়াবহ সংঘাতের হাত থেকে রক্ষার আহ্বান জানিয়ে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, বিরোধী দলবিহীন একতরফা নির্বাচনের নামে দেশকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকার নির্বাচন-নির্বাচন খেলার নামে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করছে। এভাবে দেশের সম্পদ নষ্টের কোনো মানে হয় না।’
এ সময় নির্বাচনে দেশবাসীকে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।