স্বাভাবিক যান চলাচল রাজধানীর সড়কে

স্বাভাবিক যান চলাচল রাজধানীর সড়কে

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে প্রত্যাখান করে বিএনপি-জামায়াতে ও সমমনা দলগুলোর চলছে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি। তবে হরতাল-অবরোধ থাকলেও ঢাকার সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

কর্মজীবী মানুষের আনাগোনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাস পেতেও যাত্রীদের ভোগান্তি তৈরি হয়নি। কোথাও কোথাও যানজটও তৈরি হয়েছে। কম-বেশি যাত্রী নিয়েই বাসগুলোকে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

সড়কের যানবাহনের পাশাপাশি মেট্রো স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ভীড় দেখা যায়। মতিঝিল গামী যাত্রী বেশি দেখা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর-১, আনসারক্যাম্প, টেকনিক্যাল, মিরপুর ১০, আগারগাঁও, ফার্মগেট ও প্রেসক্লাবের আশপাশের সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে সড়কগুলো ঘুরে দেখা যায়, মিরপুর থেকে সকল সড়কে বাস দাঁড়িয়ে আছে।

কোনো বাসকে অল্প যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। আবার অনেক বাসকেই যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশাও। সড়কে মোটরসাইকেলে চলাচলকারী ও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস বৃদ্ধি পেয়েছে। সড়কে যানজটও দেখা গিয়েছে।

ফার্মগেটে কথা হয় স্বাধীন পরিবহনের সহকারী চালক হাসান ইমনের সঙ্গে। সকাল থেকেই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে বলে জানান তিনি। হাসান বলেন, ‘সকাল থেকেই স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করছি। কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে নি। যাত্রীও ভালো আছে। এখন সারাদিন ভালোভাবে চালাতে পারলেই ভালো। বিপদ তো এখন হুট করে চলে আসে।’

এদিকে মেট্রো স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের চাপ তৈরি হয়েছে। এদের একটি বড় অংশ রাজধানীর মতিঝিল, ফার্মগেট ও সচিবালয়ে যাতয়াত করা যাত্রী। ট্রেনের প্রতিটি বগিতেই এ চাপ লক্ষ্য করা যায়। মিরপুর ১০, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া স্টেশন গুলোতে ট্রেনে যাত্রী উঠতে দেখা যায়। ট্রেন থেকে এই স্টেশনগুলোতে যাত্রী নামতে দেখা যায়নি। বেশিরভাগ যাত্রী মতিঝিল ও ফার্মগেট স্টেশনে নামতে দেখা গিয়েছে। স্টেশনের পাশাপাশি ট্রেনের বগিগুলোতেও যাত্রী দাড়ানোর মতো জায়গা ছিলো না। ট্রেনের পুরো বগি যেনো কোনায় কোনায় ভড়া ছিলো। যার কারনে অনেক যাত্রীর ট্রেনে উঠতে বিঘ্ন ঘটে। তারা পরবর্তী ট্রেনের অপেক্ষা করে।

অবরোধের মধ্যেও সহজে যাতায়াত করতে পারায় যাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের উল্লাস তৈরি হয়। তবে বেশিরভাগ যাত্রী অফিস শেষে ফেরার জন্য মেট্রো না চলার আক্ষেপ প্রকাশ করে।

মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনে কথা হয় মতিঝিলগামী যাত্রী মনিরুল ইসলামের সঙ্গে। মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের তো অনেক বড় উপকার হয়েছে। এখন অফিস যাওয়ার জন্য কোন চিন্তাই করতে হয় না। পাস থাকায় টিকিট কাটতেও দাঁড়াতে হয় না। কিন্তু আমাদের অফিস তো শেষ হয় ৫ টায়। এমনেই তে অবরোধ চলছে। তার মধ্যে ওই সময় বাসে আসা সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। ওই সময় মেট্রো চালু করলে আমাদের যাতায়াতে আর কোনো সমস্যাই থাকতো না।’

প্রেসক্লাবে কথা হয় ইব্রাহিমের সঙ্গে। ইব্রাহিম বলেন, ‘প্রচুর মানুষ তাই সিট পাওয়া যায় না৷ তবে দাঁড়াইতে সমস্যা হয়না। জার্নি রিল্যাক্স। হেসেল টা অনেক কমে গেছে। আগে বাড়তি সময় নিয়ে বের হতে হতো। এখন ফিক্সড টাইমে যাওয়া যায়।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *