১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২০শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ আই) তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ নিয়ে বিজ্ঞানী, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখকরা অনেকদিন ধরেই ভাবছেন। মূলত প্রোগ্রামারদের স্বাধীন দক্ষতার বিকাশই তাদের চিন্তার মূল বিষয়বস্তু। গুগল এক্সিকিউটিভদের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এ ভাবনা আরও বেড়েছে।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) সিবিএসের “৬০ মিনিটস”কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের সময় গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জেমস মানিকা জানান, প্রতিষ্ঠানের এআই সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটি নিজেই নিজেকে বাংলা শিখিয়েছে। এমনকি এ সিস্টেমে বাংলা ভাষার প্রোগ্রামিংও করা হয়নি। খুব অল্প পরিমাণে প্রম্পটিংসহ সিস্টেমটি সহজেই সব বাংলা অনুবাদ করতে পারে বলে জানান জেমস মানিকা।
একজন মানুষের সঙ্গে কীভাবে আরেকজন ব্যক্তি হিসেবে কথা বলা যায়, তা এআই মডেলের মাধ্যমে যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিখে ফেলছে। এতে উদ্ভাবনী শক্তি থাকলেও সত্য-মিথ্যাও আছে বলে বিতর্ক রয়েছে। বিষয়টি মানবসভ্যতার জন্য দুর্দান্ত মাইলফলক হলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতা বিকাশের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্নতা রয়েছে।
এদিকে, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই জানিয়েছেন, এআই মডেলের আচরণ এবং শেখার ধরন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি। বিষয়টি ব্ল্যাক বক্স হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এআই মডেল কীভাবে কাজ করে, সেটি বুঝতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।”
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ঝুঁকি থাকলেও সুন্দর পিচাইয়ের বিশ্বাস, শক্তিশালী এআই মডেল স্থাপনের আগে বাড়তি সুরক্ষা স্তর তৈরির মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবসমাজে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনলেও এগুলোর ত্রুটিও কম না। এ কারণে চীনে এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে আইনপ্রণেতারা নতুন নিয়ম প্রয়োগ করেছেন। অন্যদিকে, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রেও এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই স্বীকার করেছেন, সব এআই মডেল হ্যালুসিনেশন সমস্যায় ভুগছে। এর ফলে এআই মডেলটি ভুয়া তথ্য এবং ভুল আউটপুট দিয়ে থাকে। এসব কারণে নৈতিকতা এবং দায়িত্বেরর সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার নিশ্চিতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজনীয়।